রামবিলাস পাসওয়ান (Photo Credits: PTI/File)

নতুন দিল্লি, ৮ অক্টোবর: দীর্ঘ রোগভোগের পর হাতপাতালে প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান (Ram Vilas Paswan Dies)। টুইট করে বাবার মৃ্ত্যুর খবর দিলেন ছেলে চিরাগ পাসওয়ান। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে চিরাগ লিখেছেন, “তুমি আমার সঙ্গে চিরদিন থাকবে। তোমার না থাকা আমায় কষ্ট দিচ্ছে।” ২০০০ সালে লোক জনশক্তি পার্টির প্রতিষ্ঠা করেন রাজ্যসভার সাংসদ রাম বিলায় পাসওয়ান। গত ২৩ আগস্ট থেকে দিল্লির ফর্টিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মূলত আট বারের লোকসভা সদস্য রামবিলাস পাসওয়ান রুটিন চেকআপের জন্যই ফর্টিসে আসেন আগস্টের মাঝামাঝি সপ্তাহে। শারীরিক পরিস্থিতি বাল না থাকায় সেই সময়ই চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তাঁর আর বাড়ি ফেরা হল না।

মোদি সরকারের প্রবীণতম মন্ত্রীদের একজন ছিলেন রামবিলাস পাসওয়ান। ফুসফুস ও হদযন্ত্রের দীর্ঘকালীন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সেই মতো চিকিৎসাও চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলীয় সভাপতির ভূমিকায় থাকা ছেলে চিরাগ পাসওয়ান দলের যাবতীয় কার্যকলাপ দেখছেন। সম্প্রতি রামবিলাস পাসওয়ান বলেছেন, দল নিয়ে ছেলে চিরাগ পাসওয়ান যা যা সিদ্ধান্ত নেবে তাতে তাঁর পূর্ণ সম্মতি রয়েছে। মোদি সরকারের সবথেকে প্রবীণ মন্ত্রী হলেন রামবিলাস পাসওয়ান। গত বছর থেকে দলের দায়িত্ব তিনি ছেলে চিরাগের হাতে অর্পণ করেছেন। করোনাকালে নিখরচায় শস্যদানা বিতরণে দারুণ সক্রিয় ছিল রামবিলাস পাসওয়ানের মন্ত্রক।

১৯৪৬-এর ৫ জুলাই বিহারের সাহারবান্নি এলাকার এক দলিত পরিবারে রামবিলাস পাসওয়ানের জন্ম। সেখান থেকেই পায়ে পায়ে একদিন দেশের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে পৌঁছে গেলেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৬০ সাল নাগাদ। সেবার তিনি সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির বিধায়ক হলেন। জনতা পার্টির তরফে বিহারের হাজিপুর কেন্দ্রের সাংসদ হিসেবে প্রথম লোকসভায় প্রবেশ করেন রামবিলাস পাসওয়ান, সাল ১৯৭৭। এরপর ১৯৮০, ১৯৮৯, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪ সালে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে নির্বাচনে হেরে যান। তবে এবার রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে ফের হাজিপুর কেন্দ্র থেকে জিতে ফেরেন লোকজনশক্তি পার্টির প্রধান। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাননি রামবিলাস পাসওয়ান। গত জুন মাসে দ্বিতীয় বারের জন্য রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। আইনে স্নাতক ও কলাবিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে তাঁর।