পুরীর সৈকতে নেতাজিকে শ্রদ্ধা (Photo Credits: @sudarsansand Twitter)

পুরী, ২৩ জানুয়ারি: স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) ১২৩-তম জন্মদিনে পুরীর সৈকতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন বালু শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক (Sudarsan Pattnaik)। স্যান্ড আর্টের মাধ্যমে পুরীর সৈকতে ফুটিয়ে তুললেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রধানের ছবি, জাতীয় পতাকার পরিকৃতি ফুটে ওঠে বালির স্তূপে। ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে সেখানেই সুদর্শন লেখেন, ‘আমাদের দেশ নায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে স্যালুট’। এরপর টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করতেই প্রচুর শেয়ার হয়েছে। সঙ্গে লিখেছেন আমার ছাত্ররা পুরীর সমুদ্র সৈকতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালো স্যান্ড আর্টের মাধ্যমে।

ওড়িশার কটকে ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভোষচন্দ্র বসুর জন্ম হয়। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই দেশের তরুণ সমাজ ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তরুণ দল নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন আজাদ হিন্দ বাহিনী। তাঁর স্লোগান আজও দেশবাসীর মনে দেশাত্মবোধকে জাগ্রত করে। এমনই একটি স্লোগান হল, “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” আরও পড়ুন-Hizbul Mujahideen Planned Terror Attacks In Kashmir: প্রজাতন্ত্র দিবসে উপত্যকায় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল দাভিন্দর সিং ও হিজবুলের, গোয়েন্দা রিপোর্ট

১৯১৮ সালে দর্শনে ব্যাচেলর ডিগ্রি করেন নেতাজি। ইন্ডিয়ান সিভিব সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯২০ সালে। এরপর কাজ শুরু করেও তা ছেড়ে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ১৯২০ থেকে ৩০ সাল পর্যন্ত জাতীয় কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য পদে ছিলেন নেতাজি। তবে বিভিন্ন কংগ্রেস নেতাদের সহ্গে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে ৩০ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি জার্মানিতে আজাদ হিন্দ রেডিও স্টেশন তৈরি করে পূর্ব এশিায়ায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভাবধারাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভগবৎ গীতা ও স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষাকে তিনি তাঁর চলার পথের অন্যতম অনুপ্রেরণা হিসেবে মেনেছিলেন।