Hizbul Mujahideen Planned Terror Attacks In Kashmir: প্রজাতন্ত্র দিবসে উপত্যকায় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল দাভিন্দর সিং ও হিজবুলের, গোয়েন্দা রিপোর্ট
সেনা জওয়ানদের ফাইল ছবি (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৩ জানুয়ারি: আগামী ২৬ জানুয়ারিতে পুলওয়ামা লাগোয়া পাখেরপোরা রোডে বিস্ফোরণ ঘটানোই ছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সাসপেন্ডেড ডিএসপি দাভিন্দর সিং ওতার দলের মূল উদ্দেশ্য। উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে দাভিন্দর সিং (Davinder Singh)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ রিপোর্ট দিয়েছিল। এরপর দাভিন্দরের উপরে নজর রাখা শুরু হতেই হাতেগরম প্রমাণ মিলল। গত ১১ জানুয়ারি কাজিপুর যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কেই তিন হিজবুল জঙ্গির সঙ্গে গ্রেপ্তার হয় দাভিন্দর সিং। সেই দলে ছিল হিজবুলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড নাভিদ বাবু। এই তিন জঙ্গিকে নিজের শ্রীনগরের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল দাভিন্দর সিং। নাভিদ বাবু বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ আইইডি বিস্ফোরণে তার জুড়ি নেই।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, সেদিন যখন নাভিদ বাবু গ্রেপ্তার হয় তখন সেই গাড়ি থেকে প্রচুর বিস্ফোরকও মিলেছিল। জাদুরা এলাকায়নাশকতা চালানোর জন্যই ওই গাড়িতে করে বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নিওয়া-পাখেরপোরা রোডে আইইডি বসানোর পরিকল্পনা করেছিল হিজবুল। নাভিদ বাবু একজন আইইডি বিশেষজ্ঞ ও একই সঙ্গে জঙ্গি নিয়োগের মাস্টারমাইন্ড। রিয়াজ নাইকো-র পরে এই বাবু হল হিজবুলের দ্বিতীয় প্রধান। ২০১৮- অক্টোবর নভেম্বরে উপত্যকায় আপেল ব্যবসার কাজে ভিনরাজ্যের ব্যবসায়ীরা প্রাণ হারান। এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল নাভিদ বাবু। গোটা সীমান্ত এলাকায় হিজবুলের পয়েন্ট ম্যানের ভূমিকা পালন করত ইরফান শাহ। সে আবার নাভিদ বাবুর ভাই। ২০ জানুয়ারি ইরফানকে গ্রেপ্তার করেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। আরও পড়ুন-Chandrashekhar Azad Reaches Shaheen Bagh: ‘ভারতের সংবিধান রক্ষার্থে আমরা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছি’, শাহিনবাগে বললেন চন্দ্রশেখর আজাদ

উল্লেখ্য, এনআইএ –ই প্রথম জানিয়েছিল হিজবুল জঙ্গিদের সঙ্গে দাভিন্দর সিংয়ের যোগসূত্র রয়েছে। নাভিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দাভিন্দর যে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন উপত্যকায় নাশকতার ছক কষছে সেই তথ্যও এসেছিল এনআইএ থেকে। গ্রেপ্তারির পরেপরেই সিংকে তার পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। আর গত সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশে সিংকে দেওয়া শংসাপত্র ও মেডেল কেড়ে নিয়েছে। আফজল গুরু তাঁর চিঠিতেও দাভিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জঙ্গি যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিল। সংসদে হামলার অভিযোগে যাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আফজল গুরুর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, দাভিন্দর সিং আফজল গুরুকে অত্যাচার করেছে। তার গোটা পরিবারকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। দাভিন্দর সিংয়ের দাবি ছিল, তার জন্য় একটা ছোট কাজ গুরুকে করে দিতে হবে। নাহলে গুরুর পরিবারকে সে গুলি করে মারবে। কাশ্মীর থেকে এক জঙ্গিকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ভাড়ার ফ্ল্যাটে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে একটি পুরনো সাদা অ্যাম্বাসাডারও ভাড়া করে দিতে হবে, ওই জঙ্গির যাতায়াতের জন্য।