ইয়েস ব্যাংকের লোগো (Photo Credit: Wikipedia)

মুম্বই, ৬ মার্চ: রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ইয়েস ব্যাংকের (YES Bank) গ্রাহকদের জন্য নতুন সময়সীমা বেঁধে দিল। ইয়েস ব্যাংকের গ্রাহকরা এই মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। এই খবর রাষ্ট্র হতেই রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়। আতঙ্কিত গ্রাহকরা যে যেখানে পারেন এটিএম কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ। তারপরেই দেখা যায় গ্রাহকের অতিরিক্ত চাপে কোথাও এটিএম খারাপ হয়েছে। কোথাও টাকা নেই। এমনকী, অনলাইন ব্যাংকিং পরিষেবাও বিপর্যস্ত। অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত একমাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন ইয়েস ব্যাংকের গ্রাহকরা। ৩ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত এই বিধি বলবৎ থাকবে।

এদিকে গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্কের জেরে এতটাই হুড়োহুড়ি পড়েছে যে মুম্বই শহরজুড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসনের নির্দেশে পথে নামে পুলিশ। গোটা শহরের ইয়েস ব্যাংকের যতগুলি এটিএম আছে সেই এলাকাগুলির পরিস্থিতি দেখতে, আইনশৃঙ্খলা মানা হচ্ছে কি না তা যাচাই করতে কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ যায়। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা বলেছেন, “আমাদের আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। টাকা তুলতে চলে এসেছিলাম, কিন্তু এটিএম নগদ নেই। এদিকে অনেকে টাকা পেয়েওছেন। এখন কী করব, সামনে হোলি আর হাতও পুরো খালি।” আরও পড়ুন- Bank Strike On March 27: কেন্দ্রের ব্যাংক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে ২৭ মার্চ দেশজুড়ে ধর্মঘটে ব্যাংক কর্মীরা

এদিকে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৯-এর ৩৬এসিএ ধারায় Yes Bank-এর বোর্ড অফ ডিরেক্টরসকে ৩০ দিনের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ায় গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চিফ ফিনান্স অফিসার প্রশান্ত কুমারকে আপাতত ইয়েস ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে আরবিআই। গ্রাহকরা এটিএম থেকে টাকা তুলতে না পেরে অনলাইনের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা স্থানান্তরের চেষ্টাও করেছিলেন। একসঙ্গে বহু গ্রাহকের এই ভূমিকা অনলাইন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ম্যানেজমেন্টের তরফে এই পরিস্থিতির আভাস দিয়ে কোনও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা বা ইমেল আসেনি ইয়েস ব্যাংকের কর্মীদের কাছে।