বুধবার ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় সাত মহিলা সহ ২৯ জন মাওবাদী জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। তারা প্রত্যেকেই কুতুল এরিয়া কমিটির সদস্য ছিল। আত্মসমর্পণ করা সদস্যরা জনতানা সরকার, মিলিশিয়া, চেতনা নাট্য মন্ডলী (সিএনএম - মাওবাদীদের একটি সাংস্কৃতিক শাখা) এবং মাওবাদীদের নিম্ন স্তরের সদস্য হিসাবে সক্রিয় ছিল। ওই ২৯ জন মাওবাদী নারায়ণপুরের এসপি প্রভাত কুমারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। গত বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ এর জানুয়ারি পর্যন্ত এই জেলায় ৭১ জন সিনিয়র এবং নিম্ন শ্রেণীর মাওবাদী ক্যাডার আত্মসমর্পণ করেছে। একই সময়ে, ৬০জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে এবং ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে মাওবাদীদের কুতুল এলাকা কমিটির ক্যাডাররা ছত্তিশগড় পুলিশ, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) আধিকারিকদের কাছে মাওবাদী মতাদর্শ নিয়ে হতাশা এবং চলমান ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ পার্থক্যের কথা উল্লেখ করে নিজেদেরকে আত্মসমর্পন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
\
#WATCH | Narayanpur, Chhattisgarh | 29 naxals of the Kutul Area Committee surrendered before Narayanpur SP, Prabhat Kumar.
The surrendered naxals include 22 men and 7 women. (29.01) pic.twitter.com/aoPfYuPZmw
— ANI (@ANI) January 30, 2025
নারায়ণপুরের এসপি, প্রভাত কুমার বলেছেন, "আমরা নকশালবাদের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন পরিচালনা করছি... এর অধীনে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং উন্নয়নমূলক কাজও করা হয়েছে... কুতুল এলাকায়, আমরা এর প্রভাব হিসাবে সামাজিক পরিবর্তনও প্রত্যক্ষ করছি। এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে তারা আত্মসমর্পণ করছে... ২৯ জন যারা সক্রিয়ভাবে নকশাল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল তারা আজ আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি আরও বলেন 'সমস্ত আত্মসমর্পণকৃত মাওবাদীদের প্রত্যেককে ২৫০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল এবং সরকারের নীতি অনুসারে তাদের পুনর্বাসনও দেওয়া হবে।