দিল্লি, ৬জুন: রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) যে সুদে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে লোন দেয় তাকেই বলা হয় রেপো রেট। ফের নতুন করে রেপো রেট (Repo Rate) কমায় সুবিধার মুখ দেখবে দেশবাসী। নতুন বাড়ি করার পরিকল্পনা করছেন? বেশি ভাবনাচিন্তা না করে কোমর বেঁধে লেগে পড়ুন। কেননা ২০১৯-এ ফের রেপো রেট কমালো রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যাশামতো রেপো রেট কমাতে কার লোন, হোম লোনের সুদও কমবে। ২০১৯-এনিয়ে তিন বার কমল রেপো রেট, এবারের বেঞ্চমার্ক রেপো রেটে ০.২৫ পয়েন্ট কমানো হয়েছে। আরও পড়ুন-অশোক গহৌলতকে সরিয়ে শচিন পায়লটকে আনুন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে রাজস্থান কংগ্রেসে ঘোর কোন্দল
রিজার্ভ ব্যাংকের ছয় সদস্যের মনিটারি পলিসি কমিটি স্থির করে রেপো রেট কী হবে। কমিটিতে থাকেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও সরকার মনোনীত চার সদস্য। কমিটি দু’মাস অন্তর বৈঠকে বসে। সেখানেই স্থির হয়, রেপো রেট কী হবে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর একাই রেপো রেট স্থির করতেন। তার আগে টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করতে হত। পরে মনিটারি পলিসি কমিটি তৈরি হয়। চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষমাত্রা আগের চেয়ে কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। আগে ভাবা হয়েছিল, মোট জাতীয় উৎপাদন বাড়বে ৭.২ শতাংশ হারে। এখন ধরে নেওয়া হচ্ছে, জিডিপি বাড়বে সাত শতাংশ। এদিকে গত মাসের আর্থিক খবর বলছে, ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন কমে হয়েছে ৫.৮ শতাংশ। ভারত এখন বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বিকাশশীল অর্থনীতি নয়। গত ত্রৈমাসিকে চিনের অর্থনীতির বিকাশ হয়েছে ৬.৪ শতাংশ হারে। সেই অর্থনীতি এখন বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান।
এমনিতে রেপো রেট কমালে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কারণ তখন বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা অল্প সুদে ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষও ব্যাংক থেকে কম সুদে ধার নিয়ে নানা ভোগ্যপণ্য কিনতে পারে। রেপো রেট কমার কয়েকটি কুফল আছে। এর ফলে বাজারে কাঁচা টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার দাম বাড়তে পারে।