নতুন দিল্লি, ৩০ জানুয়ারি: “১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হলেই শাহিন বাগে চলবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। বাদ যাবে না এমন আন্দোনের কোনও ক্ষেত্রই। কেননা এই জায়গাগুলিই এখন বিশ্বাসঘাতকদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গিয়েছে।” এক ভিডিও বার্তায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তথা সমাজকর্মী তপন বোসের বক্তব্যের পাল্টা দিলেন দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র তাজিন্দর পাল সিং বগ্গা (Tajinder Pal Singh Bagga)। সঙ্গে জুড়ে দিলেন তপন বোসের বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ। যন্তরমন্তরে আয়োজিত সিএএ বিরোধী সভায় ভারতীয় সেনার (Indian army) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও সমাজকর্মী তপন বোস (Tapan Bose)। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার কোনও পার্থক্য নেই। ভারতীয় সেনা নিজের দেশের লোককেই মারছে।” তপন বোসের এহেন বক্তব্যে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
বুধবার প্রতিবাদে মুখর হয়েছে ভারতীয় সেনা। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ধর্ম বর্ণের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনা কোনও ভেদাভেদ রাখে না। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এক সাক্ষাৎকারে সেনাকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে মেনে চলে সেনাবাহিনী। জাতীয় মূল্যবোধকে মান্যতা দেয়। জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত করে। আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব এবং একতা রক্ষায় সর্বদা নিবেদিত প্রাণ ভারতীয় সেনা।” দিল্লির শাহিন বাগ ও লখনউয়ের সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে সরব হয়েছিলেন তপন বোস। বলেন, “বিক্ষোভকারীরা সংবিধান রক্ষায় লড়ছে। আর এই চলতে থাকা আন্দোলনের ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে আরএসএস ও বিজেপি।” আরও পড়ুন-Dilip Ghosh: ‘এমন রাজনীতি করুন যাতে জেলে যেতে হয়’, ‘চায়ে পে চর্চা’য় দলীয় কর্মীদের নয়া দাওয়াই দিলীপ ঘোষের
शाहीन बाग़ समर्थको द्वारा कल जंतर मंतर से कहा गया कि भारतीय सेना अपने लोगो को मारती है, भारतीय सेना की तुलना पाकिस्तानी सेना से की जा रही है। शाहीन बाग़ देशद्रोह का अड्डा बन चुका है , 11 तारीख को नतीजे आते सबसे पहले इन अड्डो पर सर्जिकल स्ट्राइक की जाएगी । pic.twitter.com/Or9d0k9E45
— Tajinder Pal Singh Bagga (@TajinderBagga) January 30, 2020
এদিকে যন্ত্রমন্তর-এর সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে তপন বোস অভিযোগ করেন, “ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের সেনার মতোই নিজের দেশের লোককে মারছে। পাকিস্তান আমাদের শত্রু দেশ নয়। আমাদের সেনাবাহিনীও তাই। পাক সেনা পাকিস্তানের লোকজনকে মারছে। আমারদের সেখান এখানকার লোকজনকে মারছে। দুই দেশের সেনার মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। দুই দেশের শাসকদল একই রকম।” প্রবেশ বর্মা, অনুরাগ ঠাকুর, দিলীপ ঘোষের পর তাজিন্দর পাল সিং বগ্গা। বিজেপি নেতারা শাহিন বাগ নিয়ে কুকথার পরম্পরা বজায় রাখলেন।