জে পি নাড্ডা (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২০ জানুয়ারি: অমিত শাহ (Amit Shah) সানন্দে দায়িত্ব ছাড়ত চেয়েছেন। দল মহানন্দে জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে স্বাগত জানাল। এদিন আর কোনও মনোনয়ন জমা না পড়ায় বিজেপির সদর কার্যালয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেলেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। নতুন সভাপতির অভিষেক পর্বে উৎসবের মেজাজ ছিল এদিন নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপি সদর দফতরে। হাজির ছিলেন প্রাক্তন সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য। এই রাজ্য থেকেও বিজেপির প্রথম সারির সব নেতাই গিয়েছেন ওই অনুষ্ঠানে। সামনেই দিল্লি বিধানসভার ভোট। এই সময় সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে যে বকলমে বিরাট কাজের ভার স্বেচ্ছায় সঙ্গে পেলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

যে কোনও উপায়েই হোক দিল্লিতে বিজেপির ক্ষমতা নিশ্চিত করাই থাকবে জেপি নাড্ডার অন্যতম লক্ষ্য। সেকাজে সফল হলেই বোঝা যাবে তিনি আদৌ সভাপতির পদের জন্য সঠিক ব্যক্তি কি না। অন্যদিকে কেজরিওয়াল সরকারও এমনি এমনি সাধের তখন ছাড়বে না, তাই নাড্ডার জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অপেক্ষা করছে সন্দেহ নেই। এদিকে অনেকেই বলছেন, নাড্ডা সভাপতি হলেও আসল ব্যাটন সেই অমিত শাহর হাতেই থাকছে। যদিও সভাপতি হিসেবে নাড্ডার নাম প্রস্তাব করেন দলের সংসদীয় বোর্ডের প্রাক্তন প্রধানরা অর্থাত্‍‌ নাম প্রস্তাব করেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং ও নীতিন গডকড়ি। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানান বিজেপির জাতীয় পরিষদের সদস্যরা। ২০১৯-এর জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অমিত শাহ জানিয়ে দেন দলে তাঁর যে কাজ রয়েছে সেই দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া হোক। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজেই মনোনিবেশ করতে চান। এবার সেই পদ হাতবদল হয়ে গেল। আরও পড়ুন-Jagat Prakash Nadda: অমিত শাহর পর বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি হচ্ছেন জেপি নাড্ডা, আজই মনোনয়ন

বিজেপি নির্বাচন কমিটির প্রধান রাধামোহন সিং ইতিমধ্যেই নির্বাচনের পুরো নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছেন। “প্রথম পর্যায়ে এনরোলমেন্ট ড্রাইভ সফল ভাবে হয়েছে, ৭৫ শতাংশ বুথ কমিটি হওয়ার পরে, ৫০ শতাংশ মণ্ডল কমিটি হওয়ার পরে এবং বিজেপির সংবিধান মেনে ২১টি রাজ্যে দলীয় সভাপতি নির্বাচনের পরে আমি সানন্দে ঘোষণা করছি যে এবার বিজেপির জাতীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হবে।”