শ্রীনগর, ২৭ জুলাই: যতদিন জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে থাকবে, ততদিন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। সোমবার সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত আর্টিকেলে এই তথ্যই দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে এখানকার বাসিন্দাদের অপমান করা হয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করার যুক্তিই বা কী, জানতে চেয়েছেন উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই বা কেন করা হল, এই আর্টিকেলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ক্ষমতাহীন শাসক হতে তাঁর আপত্তি রয়েছে।
ওমর আবদুল্লা বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর যখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তখন কোনও বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না, এই হল আমার স্পষ্ট মতামত। ক্ষমতাশালী বিধানসভার দীর্ঘদিনের সদস্য এবং টান ৬ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়েছি। সেই বিধানসভা এখন ক্ষমতাহীন। সেখানকার সদস্য হওয়ার ইচ্ছে আমার নেই। উপত্যকায় রাজনৈতিক ক্ষমতা জাহির করতে বিজেপি সুকৌশলে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছে। আসলে মূল উদ্দেশ্যই হল জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার খর্ব করা। এসব ভোটে জেতার পন্থা। তবে এক জায়গাতেই চমকেছি, যখন রাজ্য থেকে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বদলে গেল। শুধুমাত্র উপত্যকাবাসীকে অপদস্থ করা ও শাস্তি দেওয়া ছাড়া এই রদবদলের অন্য কোনও কারণ আছে বলে মনে করছি না।” আরও পড়ুন- Rafale Fighter Aircraft: চিনের সামনে শক্ত প্রতিপক্ষ, সোমবারেই ফ্রান্স থেকে ভারতের উদ্দেশে উড়ছে যুদ্ধবিমান রাফাল
My piece: “J&K participated in democratic processes,shared in nation’s development but the promise made with it wasn’t kept.Removing 370 may have been the popular thing to do,but going back on a nation’s sovereign commitments was not the right thing to do” https://t.co/VISBMOAgSA
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) July 27, 2020
তিনি আরও বলেন, “বৌদ্ধ অধ্যুষিত লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক, এই দাবি অনেক দিনের। তবে জম্মুকে পৃথক রাজ্য ঘোষণা করার দাবি আরও বেশি পুরোনো। যদি ধর্মীয় আঙ্গিক থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে লেহ ও কার্গিল জেলার বাস্তব চিত্রকে অস্বীকার করা হয়েছে। এই দুই জেলা মিলেই লাদাকের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়েছে। কার্গিল মসাধারণত মুসলিম প্রধান অঞ্চল, তাই জম্মু ও কাশ্মীরের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে এখানকার সাধারণ জনগণ।”