দিল্লি, ১১ জুন, ২০১৯: শীর্ষ আদালতে মুখ পুড়ল যোগীর। আবারও প্রতিষ্ঠিত হল মত প্রকাশের স্বাধীনতা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ( Yogi Adityanath) ভাবমূর্তি খর্ব (Defaming) করার অভিযোগে ধৃত সাংবাদিক প্রশান্ত কনোজিয়াকে (Prashant Kanojia) ছেড়ে দেওযার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট(Suprime Court)। অবিলম্বে তাঁকে জামিন দেওয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রশান্তের স্ত্রীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, 'সাধারণ এই ধরনের আবেদন আমরা গ্রহন করি না, তবে অকারণে কেই ১১দিন জেলে থাকবে এটা হতে পারে না। সেকারণেই এই আবেদন গ্রহন করা হয়েছে। '
সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য এবং ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে কনোজিয়া সহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিস। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এই অভিযোগে সাংবাদিকে গ্রেপ্তারি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরব হয়েছিল এডিডর গিল্ডও। যোগী ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা।
তারপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জগিশা আরোরা। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই শুরু হয় মামলার শুনানি।আরও পড়ুন, ন হেনস্থা এবং দুর্নীতির অভিযোগ, অপসারিত অর্থমন্ত্রকের ১২ অফিসার
সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ কালীন বেঞ্চর বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি এবং অজয় রস্তোগীর এজলাসে মামলা ওঠে। দুই বিচারপতিই জানান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে এবং সেটি ভীষণভাবে আপোসহীন। তাই ধৃত সাংবাদিকে জামিন দিতে হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে কনোজিয়া টুইটে যা লিখেছেন সেটা নিঃসন্দেহে গ্রহণযোগ্য নয়, কিন্তু তা বলে তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা যায় না।
পেশায় ফ্রিলান্স সাংবাদিক প্রশান্ত কনোজিয়া। গত শনিবার লখনউ পুলিসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তঁকে। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে যে যোগীর মুখ পুড়লো তাতে কোনও সন্দেহ নেই।