
দিল্লি, ১৯ মে: ভারতের (India) কোথায় কোন গদ্দার লুকিয়ে রয়েছে, সে বিষয়ে জোরদার তল্লাশি শুরু করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। গোটা দেশ জুড়ে কোথায় কোন 'গদ্দার' বসে রয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি আইএসআই কোথায় জাল পাতা রয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ শুরু করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। অপারেশন সিদূঁরের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আইএসআইয়ের (Pakistani ISI) চরদের খোঁজ শুরু করেছেন ভারতের গোয়েন্দারা। ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে ব্যবসায়ী থেকে ইউটিউবার মোট ৪ জন রয়েছে বলে খবর। এই ৪ জন কারা?
জ্যোতি মালহোত্রা
হরিয়ানার হিসার থেকে গত সপ্তাহে জ্যোতি মালহোত্রাকে (Jyoti Malhotra) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হিসারের এই ইউটিউবার 'ট্রাভেল উইথ জো' নামে এক ইউটিউব চ্যানেল চালাত। ইউটিউব চ্যানেলকে সামনে রেখে পাকিস্তানি আইএসআইয়ের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে চলত জ্যোতি।
জানা যায়, পহেলগামের নারকীয় হামলার আগে জ্যোতি মালহোত্রা পাকিস্তানে যায়। সেখান থেকে চিনেও যায় এই ইউটিউবার। পহেলগামেও যেতে দেখা যায় জ্যোতিকে। সবকিছু মিলিয়ে জ্যোতির পাচার করা তথ্যের গোড়া ঠিক কোথায়, সে বিষয়ে পুলিশ এবং গোয়েন্দারা জোরদার তদন্ত শুরু করেছেন।
পাকিস্তানের হাই-প্রোফাইল সব লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে জ্যোতি। ফলে জ্যোতির সঙ্গে কীভাবে লেনদেন হত পাক অফিসিয়ালদের, সে বিষয়ে গোয়েন্দারা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন।
উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার শেহজ়াদ
উত্তরপ্রদেশের রামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় শেহজ়াদ নামে এক ব্যক্তিকে। যে শেহজ়াদ ব্যবসার আড়ালে বারবার পাকিস্তানে যেত। আইএসআইয়ের যে সমস্ত লোকজন ভারতে আসত বা আসার চেষ্টা করতে, তাদের টাকার জোগান দেওয়া থেকে শুরু করে সিম কার্ড সরবারহ, সব কাজ করত শেহজ়াদ। পাকিস্তানের হাতে কোন কোন তথ্য শেহজ়াদ তুলে দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের এটিএসের তরফে।
দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ
পাক গুপ্তচর সংস্থার হয়ে কাজের অভিযোগে হরিয়ানা পুলিশ দেবেন্দ্র নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। হরিয়ানার মস্তগড় চিকা থেকে দেবেন্দ্র নামে ওই ব্যক্তিকে পুুলিশ গ্রেফতার করে। ভারতের বিভিন্ন তথ্য পাচারের অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয় দেবেন্দ্র নামে হরিয়ানার ওই বাসিন্দাকে।
প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি নজরে
ওড়িশার (Odisha) ভ্লগার প্রিয়াঙ্কা সেনাপতির (Priyanka Senapati) উপরও পুলিশের নজর রয়েছে। জ্য়োতি মালহোত্রার বন্ধু হিসেবে পরিচিত পুরীর এই ইউটিউবার। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জ্যোতি হাত মিলিয়ে কী ধরনের তথ্য পাচার করত, না কী করত, সে বিষয়ে জোর তদন্ত শুরু হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে জ্যোতি পুরীতে যায়। পুরীতে গিয়ে জ্যোতি ৪,৫ দিন ছিল। ওই সময় তাদের মধ্যে কী ধরনের তথ্যের আদানপ্রদান হয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
গত ৪ মাস আগে পাকিস্তানের কাতারপুর সাহিবে যায় প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি। ওই সময় জ্যোতিকে সঙ্গে নিয়েই প্রিয়াঙ্কা কাতার সাহিবে যায়। ফলে জ্যোতির সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাও পাক গুপ্তচর সংস্থার কোনও হ্যান্ডেলার কি না, সে বিষয়ে গোয়ান্দারা খোঁজ শুরু করেছে জোরদার।
প্রিয়াঙ্কা সেনাপতির সমস্ত দিক পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানান পুরীর পুলিশ সুপার ভিনীত আগরওয়াল। প্রিয়াঙ্কা এই মুহূর্তে পুরীর বাড়িতে রয়েছে। তার উপর পুলিশ নজরদারি শুরু করেছে বলেও ভিনীত আগরওয়াল জানান।