Cow Swayamvar In Madhya Pradesh: এবার গরুর স্বয়ম্ভরের আয়োজনে ষাঁড়ের ডাটাবেস তৈরি করল ভোপালের পশুপালন দপ্তর, কীভাবে জানেন?
প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

ভোপাল, ২৪ ডিসেম্বর: এতদিন গল্পের বইতে রাজকন্যার স্বয়ম্ভর সভা পড়েছেন বা গল্প শুনেছেন। মহাভারতে দৌপদীর স্বয়ম্ভরের গল্পও শুনেছেন। এবার বিজেপির শাসনে দেশে গরুর স্বয়ম্ভর সভা হবে। হ্যাঁ যাকে গৌ স্বয়ম্ভর (Cow Swayamvar) বলা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ভোপালে এই স্বয়ম্ভর সভার আয়োজন করা হয়েছে। একেবারে প্রযুক্তিগত নিয়মবিধি অনুসরণ করেই গরুর স্বয়ম্ভর হবে। এই মহান কাজে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের পশুপালন দপ্তর। ভোপালের থারপারকর, মুরাহ, মালভি, নিমারি, সাহিওয়াল ও গির এলাকার ২০০টি ষাঁড়কে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই স্বয়ম্ভরের ডাটাবেস। ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে ষাঁড়ের নাড়িনক্ষত্র পশুপালন দপ্তরের এই ডাটাবেসের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই রাজ্যের গোপালনকারী গৃহস্থের আর চিন্তা নেই।

একবার শুধু নিজের গরুকে নিয়ে পশুপালন দপ্তরের গোশালায় চলে আসতে হবে। কী ধরনের ষাঁড় তাঁর পছন্দ তা ঠিক করে নিয়ে গরুকে কয়েকদিন সেই গোশালায় রেখে দিন। দেখবেন ভাগ্। ফিরে যাবে। বাছুর জন্মাবার পরে যে দুধ আপনার গরু দেবে তা যেমনই উৎকৃষ্ট মানের তেমনই লাভজনক। এমনকী বাছুরটিও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে জন্মাবে। কোনওরকম কঠিন রোগের সম্ভাবনা নেই। পরবর্তিতে সে-ও প্রচুর দুধ দেবে। যা রাজ্যের ডেয়ারি শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে। আরও পড়ুন-UP Police Raids Houses Following Anti-CAA Protests: সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের দোহাই দিয়ে মুসলিম প্রধান বিজনোরে যোগীর রাজ্যের পুলিশের গুলি, মৃত ২ যুবক

এবার কথা হল পছন্দমতো ষাঁড় আপনার গরুর জন্য বাছবেন কীভাবে? আরে তার জন্যেই তো তৈরি হয়েছে ডাটাবেস। কম্পিউটারে নিজেই ভোপালের পশুপালন দপ্তরের ওয়েবা সাইটে গিয়ে এই ডাটাবেস অনুসরণ করতে পারেন। সেখানে তিনটি স্তরে রাজ্যের ২০০টি ষাঁড়ের ঠিকুজি কুষ্ঠি লেখা রয়েছে। যার সঙ্গে আপনার গরুর ঠিকুজি মিলে যাচ্ছে তার গলাতেই বরমালা দিয়ে দেবে আপনার গরু ব্যাস কাজ শেষ। এবার পশুপালন দপ্তরের গোশালায় কয়েকদিন মধুচন্দ্রিমা যাপন করিয়ে আপনার গরুকে বাড়িতে নিয়ে যান। এই তিনটি স্তরের প্রথমটিতে রয়েছে ষাঁড়ের নাম, বয়স, কোন এলাকার বাসিন্দা। কী প্রজাতির। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে এই ষাঁড়ের সঙ্গে আপনার গরুর মেডিং হলে যে দুধ উৎপন্ন হবে তার গুণমান কেমন। কতটা পরিমাণে দুধ সে দেবে। আদৌ তা লাভজনক কি না। শেষের ধাপে রয়েছে ষাঁড়ের কোনও কঠিন অসুখ আছে কি না। থাকলেও শারীরিকভাবে সে কতটা রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। আদৌ বাছুরের রোগের সম্ভাবনা আছে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি।