পশুবলির প্রতীকী ছবি (Photo Credits: File photo)

ত্রিপুরা, ১০ অক্টোবর: ২৭ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা হাইকোর্ট (Highcourt) রায় দিয়েছিল কোনও মন্দিরে কোনওরকম পশু বা পাখি বলি দেওয়া যাবে না। এই ঐতিহাসিক রায় ঘিরে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন অগুণতি ভক্ত। আদালতের এমন রায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল মন্দির কর্তৃপক্ষের মধ্যেও। দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পশুপ্রেমীরা আদালতের এমন ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন। আদালতের রায় মেনে এই প্রথমবার দুর্গাপুজোর সময় ত্রিপুরা ও আগরতলায় কোনও পশু বা পাখি বলিদান করা হয়নি।

বহু বছর ধরে চলে আসা বলিদানের প্রথা ভাঙল এবার। একাধিক মন্দির কর্তৃপক্ষ বহু বছর ধরে চলে আসা প্রথা বদল করতে বাধ্য হল। এবার রাজ্যের কোনও মন্দিরে একটিও পশুবলি হয়নি। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে ৫০০ বছর ধরে চলে আসছে পশুবলির রেওয়াজ। এবার সেখানেও ঘটল বদল। আদালতের নির্দেশ মেনে এবার তারাও পশুবলি করেনি। আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সময় এসেছে কি না বিবেচনা করুক কেন্দ্র: RSS

ত্রিপুরার একাধিক মন্দিরে নবমীতে মোষ বা ছাগ বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। তবে রাজ্যসরকার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। মানুষের আবেগ, অনুভূতির কথা মাথায় রেখেই এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট রায় না জানানোর আগে পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশমতো রাজ্যে বন্ধই থাকবে পশুবলি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধ-র ডিভিশন বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল।