নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ সাজাপ্রাপ্ত (Photo Credits: File Image)

নতুন দিল্লি, ২৪ জানুয়ারি: তিহার জেল (Tihar Jail) কর্তৃপক্ষ প্রাণভিক্ষা (mercy petition) ও কিউরেটিভ পিটিশন (curative petition)সংক্রান্ত কাগজপত্র দিতে দেরি করছে। এই অভিযোগ তুলে ফের দিল্লির পতিয়ালা হাউজ় কোর্টে আবেদন করলেন নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Case) দুই সাজাপ্রাপ্তর আইনজীবী এপি সিং। তাঁর অভিযোগ, তিহার জেল কর্তৃপক্ষ বিনয়, পবন এবং অক্ষয়ের পিটিশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনও দেয়নি। নির্ভয়াকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীর করা এই আবেদনের শুনানি শনিবার পতিয়ালা হাউজ় কোর্টে হবে। আইনজীবী এপি সিং অভিযোগ করেছেন যে, তিহার জেল কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালের নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার চার আসামির মধ্যে বিনয়, পবন এবং অক্ষয়ের জন্য কিউরেটিভ ও প্রাণভিক্ষার আবেদন দায়ের করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি দিতে পারেনি এখনও। নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামিদের ২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা রয়েছে।

এদিকে আজ ফাঁসি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে। কোনও মামলা নিয়ে তারিখের পর তারিখের সমালোচনা করেছেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে (Chief Justice SA Bobde)। তিনি এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, একটি ফাঁসি নিয়ে অনন্তকাল ধরে লড়াই চলতে পারে না। নির্ভয়া মামলার দোষীদের ফাঁসি কবে হবে, তা নিয়ে টালবাহানার অন্ত নেই। এর মধ্যে তাঁর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya Rape And Murder Case) অভিযুক্তদের এক এক জনের হয়ে এক এক সময় তাঁদের আইনজীবীরা রায় সংশোধনের আর্জি জানাচ্ছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনও আলাদা আলাদা সময়ে জমা পড়ছে। এক বার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়ে তা পিছিয়ে গেছে। উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায় একটি খুনের ঘটনায় ফাঁসির আদেশ পুনর্বিবেচনার আর্জির মামলায় সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক ঘটনায় যা দেখা যাচ্ছে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া বন্দিরা যেন মনে না করে যখন খুশি ফাঁসির আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে।’’ এই মামলায় অভিযুক্তদের গত ২০০৮ সালে মৃত্যু সাজা শুনিয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে তাদের সাজা রদ হয়। শুনানির শুরুতেই তিনি জানান,"ফাঁসি নিয়ে অনন্ত লড়াই চলতে পারে না।" আরও পড়ুন: Chief Justice SA Bobde: অনন্তকাল ধরে ফাঁসি নিয়ে লড়াই চলতে পারে না, মতপ্রকাশ প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের আমরোহার সেলিম ও শবনম মিলে ২০০৮-এ শবনমের পরিবারের সাত জনকে খুন করেছিল। শবনম সেলিমকে বিয়ে করতে চাইলেও পরিবার মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলেই এই খুন। সেলিমের হয়ে আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার ফাঁসি রদের আর্জি জানিয়ে বলেন, অপরাধের সময় সেলিম একেবারে অশিক্ষিত ছিল। এখন সে জেলে ডিগ্রি অর্জন করেছে। স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করছে। সে শুধরে গিয়েছে। শবনমের আইনজীবী মীনাক্ষি অরোরাও যুক্তি দেন, সে এখন শুধরে গিয়েছে। প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, "শুধু অভিযুক্ত বা দোষীদের অধিকার নয়, সুপ্রিমকোর্টকে (Supreme Court) নির্যাতিতাদের অধিকারের দিকটিও দেখতে হবে।"