Nirbhaya Case: ২০ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি হবে নির্ভয়াকাণ্ডে চার অপরাধীর
নির্ভয়াকাণ্ডে চার অপরাধী (File Image)

নতুন দিল্লি, ৫ মার্চ: নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Case) চার অপরাধীর ফাঁসির দিন ও সময় স্থির করল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। আজ নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আদালত। ২০ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটায় চার অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হবে। গতকালই তিহার জেল কর্তৃপক্ষ নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আবেদন করে। গতকালই অপরাধী পবন গুপ্তার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। আগেই বিনয়, মুকেশ ও অক্ষয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল পবনসহ চার অপরাধীর। তবে তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। চার অপরাধীর ফাঁসিতে স্থগিতাদেশের আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছিল পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট কিউরেটিভ পিটিশনের আবেদন খারিজ করার পর সোমবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে পবন গুপ্তা। তার ভিত্তিতেই ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন ধর্ষকদের আইনজীবী এপি সিং। আরও পড়ুন: Supreme Court: এই প্রথম হোলির ছুটিতেও ভেকেশন বেঞ্চ চালু রাখবে সুপ্রিম কোর্ট, কেন জানেন?

গত ১৭ জানুয়ারি ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির জন্য মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। তবে ৩১ জানুয়ারি সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দায়রা আদালতই। সব দোষী সমস্ত আইনি বিকল্প ব্যবহারের সুযোগ পাননি বলে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০১২ সালে নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীসাব্যস্ত চার দণ্ডিত মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর এবং পবন গুপ্তার মধ্যে পবন বাদে বাকি তিনজনই সমস্ত আইনি বিকল্প শেষ করে ফেলেছিল। ৫ ফেব্রুয়ারি এক শুনানিতে সব দোষীকেই এক সপ্তাহের মধ্যে আইনি বিকল্পের আবেদন করতে বলেছিল। তবে সে সময় কোনও আবেদন করেনি পবন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি করে পবন। সোমবার সেই আর্জি খারিজও করে শীর্ষ আদালত। এরপরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা জানায় পবন। তার আর্জির পর পরই নিম্ন আদালতে ফাঁসি পিছনোর আর্জি করেন পবনের আইনজীবী। আর পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।