মুর্শিদাবাদে আল-কায়দা-যোগে ধৃত জঙ্গিদের জেরা করছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র (NIA) গোয়েন্দারা। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের সূত্রের খবর, এনআইএ যে তার হদিশ পেয়েছে তা আঁচ করে পালানোর ছক কষে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান মোল্লা। কয়েকজনকে ফোনও করে সে। কাদের ফোন করেছিল ওই জঙ্গি, তাও খতিয়ে দেখছে এনআইএ। পাশাপাশি, ডোমকল থেকে ধৃত নাজমুস শাকিবের মোবাইল ফোনে মিলেছে কাশ্মীরের কয়েকজনের নম্বর। জেরায় উঠে একাধিক তথ্য। কী উদ্দেশ্যে এদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত শাকিব নামের কম্পিউটার সায়েন্সের ওই ছাত্র তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনআইএ ছাড়াও ধৃত জঙ্গিদের জেরা করবে বেঙ্গল এসটিএফ।
প্রসঙ্গত, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৯ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ (NIA)। ধৃতরা জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার (Al-Qaeda) সদস্য। তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এরনাকুলামে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। এদের মধ্যে মুর্শিদাবাদে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার ৬ সন্দেহভাজন জঙ্গি। কেরালা থেকে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আরও তিন সন্দেহভাজন। ধৃতদের দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নাশকতার ছক ছিল বলে এনআইএ সূত্রে দাবি। আরও পড়ুন, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে ৯ আল কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ
সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, "এনআইএ পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালা সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে আল-কায়েদার একটি মডিউল সম্পর্কে জানতে পেরেছিল। এই গ্রুপটি নিরপরাধ মানুষকে হত্যা এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল।" প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, এই ব্যক্তিরা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তান-ভিত্তিক আল-কায়েদার কট্টরপন্থী হয়েছিল এবং দিল্লি সহ একাধিক স্থানে হামলা চালাতে তৈরি হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ডিজিটাল ডিভাইস, ডকুমেন্টস, জিহাদি সাহিত্য, ধারালো অস্ত্র, দেশী আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত নথি উদ্ধার হয়েছে।
শনিবারই তাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ধৃতদের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের দিল্লি নিয়ে গেছে এনআইএ। ৯ জনকে গ্রেফতারির পর, নাশকতার ছক ভেস্তে গিয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।