দিল্লি, ১৩ সেপ্টেম্বর: কেন মুসলমানরা ভারতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। মুঘল শাহজাদা দারা শিকোহ (Mughal prince Dara Shikoh) সম্পর্কিত একটি কনফারন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন আরএসএস-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল (Krishna Gopal)। বৃহস্পতিবারের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রবীণ আরএসএস (RSS) নেতা। সেখানে তিন প্রশ্ন তুললেন, ভারতে কেন শুধু মুসলমানরাই নিরাপত্তার অভাব বোধ করে আতঙ্কিত হয়। এখানেতো আরও সংখ্যালঘুরা রয়েছে যেমন বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি। তারা তো সংখ্যার বিচারে মুসলমানদের থেকে অনেক বেশি সংখ্যালঘু। তবে ভয় পাওয়ারে ক্ষেত্রে মুসলমানরা কেন সবার আগে? গোটা ভারতে মাত্র ৫০ হাজার পার্সি (Parsis) রয়েছেন। সেখানে জৈনের (Jains) সংখ্যা ৪৫ লক্ষ। ৮০ লক্ষ বৌদ্ধ (Buddhists) ও মাত্র পাঁচ হাজার ইহুদির (Jews) বসবাস। এঁরা কেউই কিন্তু ভীত নন।
কৃষ্ণ গোপাল বলেন, ‘ভারতে প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মুসলমান বসবাস করেন। তখন কেন তাঁরা এত ভয় পাবেন? কার জন্য ভয় পাবেন? এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। এটা একটা বড় প্রশ্ন।’ কথা প্রসঙ্গে আরএসএস নেতা প্রখাত ইসলামিক স্কলার রামিশ সিদ্দিকির (Islamic scholar Raamish Siddiqui) একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরেন, “মুসলমানদের ভয় পাওয়া উচিত নয়।” গোটা বিশ্ব যে একটাই পরিবার এই নীতিকে প্রতিষা করতে গিয়ে ভারতবর্ষ কখনও কোনও আপোশ করেননি। কলের সুখী থাকাতেই ভারতবর্ষ বিশ্বাস করে। এমনকী, পাকিস্তানের সমৃদ্ধিও কামনা করা হয়। এই সময় তিনি দারা শিকোহকে সত্যিকারের মুসলমান হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর মতে মুঘল শাহজাদা দারা শিকোহ ছিলেন। মিলেমিশে থাকার ভাবনার রূপকার ছিলেন শাহজাদা। আর একতাই হল ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রয়োজনীয় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আরও পড়ুন-গরু দত্তক নিন, রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার
একই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গেবকে (Mughal Emporer Aurangzeb) ‘সন্ত্রাসের প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। আবার একই সঙ্গে শাহজাদা দারা শিকোহকে ‘জাতীয়তাবাদের প্রতিমূর্তি’ বলেছেন। তাঁর অভিযোগ, সম্রাট আওরঙ্গজেব মানুষের মূল্যবোধ ও ভারতের সনাতন সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন। আওরঙ্গজেবের মতো একজন নৈরাজ্যবাদি, নিষ্ঠুর শাসক ও তাঁর হিংসাত্মক কীর্তিকে মহিমান্বিত করে রেখেছেন এদেশের একদল ইসলামিক ধর্মান্ধ, বামপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ ইতিহাসবিদরা।