আগ্রা, ৭ জানুয়ারি: এবার শিক্ষিকার নামে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলল একাদশ শ্রেণির ছাত্র (UP Student)। শুধু অ্যাকাউন্ট খোলাই নয়, সেখানে শিক্ষিকাকে ‘এসকর্ট’ হিসেবে পরিচিতি দিল সে। এমনকী, ভুয়ো প্রোফাইলে শিক্ষিকার ফোন নম্বরও দিয়ে দিয়েছে গুণধর ছাত্রা। এই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই পড়ুয়াকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারির পর ধৃত পড়ুয়াকে প্রথমে জুভেনাইল হোমে রাখা হয়েছিল। সেখানে আগের থেকেই ছিল তার ২২ বছরের তুতো দাদা। সেই দাদার ফোনের সিমকার্ড থেকে ইন্টারনেটের অ্যাকসেস পায় ধৃত। এরপর তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ধৃত পড়ুয়া জেরায় স্বীকার করেছে যে, গৃহশিক্ষিকাকে হয়রান করার জন্যই তাঁর নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল।
এই প্রসঙ্গে আগ্রার সাইবার ক্রাইম অফিসার বিজয় তোমর বলেছেন, “বছর ৩৫-এর গৃহশিক্ষিকাকে অপদস্থ ও বদনাম করার জন্যই যে ধৃত পড়ুয়া তাঁর নামে ভুয়ো প্রোফাইল খুলেছিল, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও একটা বিষয় অন্ধকারেই রয়েছে যে কোনও ঘটনা তাকে এমন কুকর্ম করতে উদ্বুদ্ধ করল। প্রায় মাসখানেক হল ওই গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে অঙ্ক শিখতে যাচ্ছে ধৃত পড়ুয়া। তবে পরবর্তিতে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক আচরণের জন্য তাকে আর পড়াতে চাননি ওই শিক্ষিকা।” এদিকে ভুয়ো প্রোফাইল ফোন নম্বর পোস্ট হওয়ার পর থেকে অবাঞ্চিত ফোনকল পেতে শুরু করেন ওই মহিলা। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি এডিট করে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ইনফো-তে লেখা রয়েছে এসকর্ট পেশার জন্য প্রতি রাতে ১৫০০ টাকা করে নেন ওই গৃহশিক্ষিকা। আরও পড়ুন-Winter In West Bengal: শিয়রে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার খাঁড়া, বাংলা থেকে আচমকা উধাও শীত
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বাবলু কুমার বলেন, “আপত্তিকর ফোনকলে অতিষ্ট হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। এরপরই তুতো দাদাভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে জগদিশপুরা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ ও ৪০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।”