পরিবারের সম্মতি ছিল না তাঁদের প্রেমে। তাই একসঙ্গে বাঁচতে না পাড়ুক একসঙ্গে মরার সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তর প্রেদেশের হরদই জেলার যুবক-যুবতী (UP Shocker)। বেহতা গোকুল পুলিশ সার্কেলের একটি গুদাম ঘরের সিলিং থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল সঙ্গীতা এবং রোহিতের।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই পরিবারের কারুরই সম্মতি ছিল না তাঁদের প্রেমে। দুটি পরিবারের জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রাণ গেল বছর ১৯-এর সঙ্গীতা সিংহ এবং ২০ বছরের রোহিতের। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে যাত্রীবোঝাই বাসে ট্রাকের ধাক্কা, ঘটনাস্থলে প্রাণ হারালেন ৬ জন, গুরুতর আহত ১৫
পুলিশ জানান, এদিন সকালে সঙ্গীতার কাকা গুদামঘরটি পরিষ্কার করতে আসেন। আর তখনই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন সঙ্গীতা এবং তাঁর বন্ধু রোহিতের দেহ। সঙ্গে সঙ্গে সে পুলিশে খবর দেয়।
সঙ্গীতার বাবা পেশায় একজন কৃষক। এবং রোহিতের বাবা শহরের একটি কলকারখানা কাজ করেন। নীচু জাত হওয়ার কারনে রোহিতের সঙ্গে মেয়ে সঙ্গীতার প্রেম কখনই মেনে নিতে পারে তাঁর পরিবার। এমনকি অন্যত্র মেয়ের বিয়েও ঠিক করে। আগামী ২ ডিসেম্বর সঙ্গীতার বিয়ের তারিখ পাকা হয়। কিন্তু নিজের ভালবাসার মানুষের থেকেই সিঁদুর পড়ার প্রতিজ্ঞা করেছি সঙ্গীতা। তাই তাঁর হাত ধরেই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন।
গুদামঘরটি থেকে উদ্ধার হয়েছে সঙ্গীতার মবাইল ফোন। মঙ্গলবার রোহিতকে ফোন করে শেষবারের মত দেখা করতে ডাকেছিল সঙ্গীতা।