নয়া দিল্লি, ২৪ জুলাই: Mahua Moitra of TMC। দেশজুড়ে ৩০৩টি আসনে জিতে এসে লোকসভায় একেবারে একপেশে আধিপত্য বিজেপি-র। রাহুল গান্ধীর সভাপতি পদ ছেড়ে দেওয়ার পর প্রদান বিরোধী কংগ্রেস দল তো একেবারেই ছন্নছাড়া। নরেন্দ্র মোদি টু সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর মত তেমন কোনও মুখ এখন নেই। গতকাল, কর্নাটকে আস্থা ভোটে কংগ্রেস-জেডি(এস) সরকারের পতনের পর বিজেপি সাংসদরা আরও চাঙ্গা হয়েছেন।
এরই মধ্যে আজ বিরোধীদের স্বর হয়ে উঠলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যিনি লোকসভায় তাঁর বক্তৃতায় দেশের মন জিতেছিলেন। মহুয়া মৈত্র আবারও তাঁর বক্তৃতায় মন জিতলেন। আরও পড়ুন-চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে নাড়িভুঁড়ি হাতে নিয়ে ৯ কিমি হেঁটে প্রাণে বাঁচল যুবক
“Possible to be anti-government and still be pro-India” : @MahuaMoitra pic.twitter.com/G6E72PZ9nf
— Ram رام (@RamPD78) July 24, 2019
বুধবার সংসদে 'আন ল’ফুল অ্যাক্টিভিটি প্রিভেনশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল' ২০১৯ নিয়ে আলোচনার সময় সরকারকে নিশানা করে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বেশ জমিয়ে দিলেন। বিলটি নিয়ে মহুয়া বলেন, বিলটি পাস হলে যে কোনও লোককে উপযুক্ত তদন্ত ছাড়াই জঙ্গি তকমা দিতে পারে। এই বিলের বিরোধিতা করা উচিত। এই বিলের বিরোধিতা করে নানা উদাহরণ টেনে আনেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, দেশে এখনও বহু মানুষ রয়েছেন যারা সাদা-কালোয় ভাগ হয়ে যাননি। সেখানে হয় তুমি সরকার পক্ষের নয়তো তুমি সরকার বিরোধী।
লোকসভায় দাঁড়িয়ে মহুয়া মৈত্র-র সাফ অভিযোগ, সরকার নিজেই এখন 'প্রপাগান্ডা' চালাচ্ছে। সরকারের 'ট্রোল আর্মি' এখন নিশানা করেছেন বিরোধীদের। যে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে দেশ বিরোধী বলা হচ্ছে। সরকারের সমালোচনা করা করার অর্থ এই নয় যে তিনি দেশে বিরোধী। বিরোধীদের সমালোচনার করার অধিকার রয়েছে। এই জায়গাটাই চাইছি আমরা। বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওলিয়া বলেন, মহুয়া মৈত্র যা বলছেন তার প্রমাণ কী? তাঁকে ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারপক্ষের চাপ সত্ত্বেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি মহুয়া।