কোঝিকোড়, ১৬ সেপ্টেম্বরঃ কেরলের কোঝিকোড়ে থাবা বসিয়েছে নিপা ভাইরাস (Nipah virus)। ক্রমশ এই মারণ ভাইরাস ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত নিপায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শনিবার কিছুটা স্বস্তির খবর দিলেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ (Kerala Health Minister Veena George)। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, নিপা পরীক্ষার জন্য পাঠানো ১১টি নমুনার ফলাফল নেতিবাচক এসেছে। সুতরাং গতকালের হিসাব অনুযায়ী মোট ৬ জন নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন কোন সংক্রমণের কেস নথিভুক্ত হয়নি।
এদিন তিনি আরও জানান, 'এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ওই ছয়জন নিপা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের সনাক্ত করা। তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো। এছাড়া গত মাসে যে ব্যক্তি নিপায় মারা গিয়েছেন তাঁর শরীরে কীভাবে এই ভাইরাস এল তা নির্দিষ্ট করা'। মৃত ব্যক্তির মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ট্রেস করার জন্যেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে তিনি মারা যাওয়ার আগে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন সেই সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। এছাড়াও ২১ জন ব্যক্তিকে মেডিক্যাল কলেজে নিভৃতাবাসে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোঝিকোড় ছাড়াও কেরলের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে নিপা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করার জন্যে ১৯টি দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে সেই দল। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) জানিয়েছে, করোনা সংক্রমনে মৃত্যুর হারের তুলনায় নিপা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কোভিডের ২-৩ শতাংশ হলে নিপায় মৃত্যু হার ৪০-৭০ শতাংশ। ফারাকটা সত্যিই ভয় ধরানোর মত। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। জারি হয়েছে সতর্কতা। সংক্রমণ রুখতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার পর্যন্ত কোঝিকোড়ের (Kozhikode) সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুল, কলেজ এমনকি টিউশন ক্লাসও বন্ধ থাকবে আগামী ১ সপ্তাহ।