নতুন দিল্লি, ২৩ জানুয়ারি: সোজা কথা বলতে বরাবরই ভয় পান না অভিনেতা কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut )। তা সে কোনও সেলিব্রিটি হোক বা অন্য কোনও ব্যক্তিত্ব। যে কোনও প্ল্যাটফর্মেই হোন, দেশের নানা বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তর দেন। গতকাল নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Case) বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা নিয়ে তিনি চড়া ভাষায় আক্রমণ করেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে (Indira Jaising)। ১৭ জানুয়ারি নির্ভয়ার মায়ের কাছে কাতর অনুরোধ জানিয়ে টুইট করেন সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তিনি বলেন, "আশাদেবীর যন্ত্রণার কথা জেনেও আমি তাঁকে অনুরোধ করব সনিয়া গান্ধীর মতো তিনিও যেন দোষীদের ক্ষমা করে দেন। রাজীব গান্ধী হত্যার অন্যতম দোষী নলিনীকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। আমরা আপনার সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে।"
এই অনুরোধের কথা শোনার পর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি আশাদেবী। সাংবাদিকদের সামনে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। গতকাল ইন্দিরা জয়সিং-র ওই অনুরোধের বিষয়ে কঙ্গনা বলেন,"ওই মহিলাকে চার দিনের জন্য ওই আসামির সঙ্গে জেলে রাখা উচিত। তাঁদের মতো মহিলারা এই ধরণের দানব এবং খুনিদের জন্ম দেয়।" এই প্রথম কঙ্গনা রানাওয়াত সাহসী বক্তব্য পেশ করলেন না। আগেও তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি নিয়েও নিজের মত প্রকাশ করেন। কেউ কেউ তাঁর বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার এটিকে প্রচারের স্টান্ট হিসাবে বিবেচনা করেছেন। আরও পড়ুন: Nirbhaya Convicts Hanging: শেষ ইচ্ছা কী? প্রশ্ন শুনে কী বলল নির্ভয়াকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা
#WATCH Kangana Ranaut on senior lawyer Indira Jaising's statement,'Nirbhaya's mother should forgive the convicts': That lady (Jaising) should be kept in jail with those convicts for four days...Women like them give birth to these kind of monsters and murderers. (22.1) pic.twitter.com/MtNcAca1QG
— ANI (@ANI) January 23, 2020
১ ফেব্রুয়ারি তিহার জেলে নির্ভয়াকাণ্ডের আসামি মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিং এবং পবন গুপ্তার ফাঁসি হবে। সকাল ৬টায় ফাঁসি কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট। গতকাল, কেন্দ্রীয় সরকার মৃত্যুদণ্ডের মামলার নির্দেশিকাগুলি পরিবর্তনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছে। যাতে অপরাধীরা আইনি বিকল্প ব্যবহার করে সাজা বিলম্ব করতে না পারে। কেন্দ্রের আবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনজনিত দীর্ঘসূত্রিতার কারণে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের যন্ত্রণা বেড়েই চলে। তা ছাড়া, সমাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করতেই ফাঁসির মতো চরমতম শাস্তির সুপারিশ করা হয়। অতিরিক্ত দেরি হলে সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, যখন কোনও আসামি চরম শাস্তির কথা জেনেই গিয়েছে, তখন অতিরিক্ত বিলম্ব সে দিক থেকেও অমানবিক।