Nirbhaya Convicts Hanging: শেষ ইচ্ছা কী? প্রশ্ন শুনে কী বলল নির্ভয়াকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা
নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ সাজাপ্রাপ্ত (Photo Credits: File Image)

নতুন দিল্লি, ২৩ জানুয়ারি: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হবে নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Case) চার সাজাপ্রাপ্তদের। তাই তাদের শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় আসামীরা কোনও প্রশ্নের জবাব দেয়নি, এমনটাই জানা যাচ্ছে তিহার জেল (Tihar Jail) সূত্রে। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামীদের শেষবারের জন্য পরিবারের এক সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। আসামীকে পরিবারের কোন সদস্যদের সঙ্গে সে কথা বলতে চায় তা বেছে নিতে হয়। অভিযুক্তরা তাদের সম্পত্তি কারও হাতে ছেড়ে দিতে চায় কি না তাও জানাতে বলা হয়। সূত্র বলছে যে, আসামী মুকেশ সিং (Mukesh Singh), বিনয় শর্মা (Vinay Sharma), অক্ষয় সিং (Akshay Singh) এবং পবন গুপ্তা (Pawan Gupta) এই বিষয়ে নীরব ছিল। আর এতেই মনে করা হচ্ছে, বেশি করে সময় পাওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী।

১ ফেব্রুয়ারি তিহার জেলে নির্ভয়াকাণ্ডের আসামি মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিং এবং পবন গুপ্তার ফাঁসি হবে। সকাল ৬টায় ফাঁসি কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্ট। গতকাল, কেন্দ্রীয় সরকার মৃত্যুদণ্ডের মামলার নির্দেশিকাগুলি পরিবর্তনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছে। যাতে অপরাধীরা আইনি বিকল্প ব্যবহার করে সাজা বিলম্ব করতে না পারে। কেন্দ্রের আবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনজনিত দীর্ঘসূত্রিতার কারণে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের যন্ত্রণা বেড়েই চলে। তা ছাড়া, সমাজে দৃষ্টান্ত তৈরি করতেই ফাঁসির মতো চরমতম শাস্তির সুপারিশ করা হয়। অতিরিক্ত দেরি হলে সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, যখন কোনও আসামি চরম শাস্তির কথা জেনেই গিয়েছে, তখন অতিরিক্ত বিলম্ব সে দিক থেকেও অমানবিক। আরও পড়ুন: Nirbhaya Case: নারকীয় সেই ঘটনার সময় নাবালক ছিল, নির্ভয়ার আসামী পবন গুপ্তার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানায়, ফাঁসির রায় ঘোষণা হওয়ার সাত দিনের মধ্যে সাজা সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) দাখিলের সময়সীমা স্থির করা হোক। কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হলে পরবর্তী ধাপে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হওয়ার সাত দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানো ও প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলে পরের ১৪ দিনের মধ্যে যাতে ফাঁসি হয়, তার জন্যও নির্দেশিকায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের আবেদন জানানো হয়েছে।

ফাঁসি রদ করতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়াতে নারাজ আসামীদের আইনজীবীরা। দিল্লি হাইকোর্ট সাজাপ্রাপ্ত আসামী পবন গুপ্তার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আগেই এবার সুপ্রিম কোর্টও সেই একই কাজ করল। ২০১২-তে যখন দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে নির্ভয়ার উপরে নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে তাকে খুন করা হয়. তখন নাবালক ছিল পবন গুপ্তা (Pawan Gupta)। তার বয়স তখন ১৭ বছর ১ মাস ২০ দিন। এই কারণ দেখিয়ে তার ফাঁসির সাজা মকুবের তালে ছিলেন আইনজীবী এপি সিং। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।