নতুন দিল্লি, ২০ জানুয়ারি: ২২ জানুয়ারির ফাঁসি রদ করতে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়াতে নারাজ আসামীদের আইনজীবীরা। দিল্লি হাইকোর্ট সাজাপ্রাপ্ত আসামী পবন গুপ্তার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আগেই এবার সুপ্রিম কোর্টও সেই একই কাজ করল। ২০১২-তে যখন দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে নির্ভয়ার উপরে নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে তাকে খুন করা হয়. তখন নাবালক ছিল পবন গুপ্তা (Pawan Gupta)। তার বয়স তখন ১৭ বছর ১ মাস ২০ দিন। এই কারণ দেখিয়ে তার ফাঁসির সাজা মকুবের তালে ছিলেন আইনজীবী এপি সিং। বাকি আসামীরা প্রাপ্তবয়স্ক তাদের সঙ্গে মিলে কখনওই একই সাজা পেতে পারে না পবন। তবে এপি সিংয়ের কোনও ওজর আপত্তিই ধোপে টিকল না। দেশের শীর্ষ আদালতেও খারিজ হয়ে গেল রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন।
এদিকে কড়া প্রহরার মধ্যে রাখা হয়েছে নির্ভয়ার চার ধর্ষক খুনিকে। তিহাড় জেলের তিন নম্বর সেলেরয়েচে তারা। সেখান থেকে ফাঁসির মঞ্চ খুব বেশি দূরে নয়। ওইটুকু ছোট্ট জেলের মধ্যে রাখা হয়েছে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। অপরাধীদের সেলের বাইরে প্রহরার জন্য রাখা হয়েছে দুই থেকে তিনজন রক্ষী। গত শুক্রবার জেল কর্তৃপক্ষ দোষীদের আইনগত প্রতিকার সম্পর্কিত তথ্য দাখিল করেছে। গত ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন অভিযুক্ত পবন, অক্ষয় এবং মুকেশকে ২ নম্বর সেলে রাখা হয়। আরেক অপরাধী বিনয়কে ৩ নম্বর সেলে। বৃহস্পতিবার দিল্লি আদালত তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে চারজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নির্ধারিত মৃত্যুদণ্ডের স্থিতি সম্পর্কে যথাযথ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল। আরও পড়ুন-Jammu & Kashmir: জম্মু কাশ্মীরে সাতসকালেই গুলির লড়াইয়ে নিকেশ তিন জঙ্গি, সোপিয়ানে উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র
AP Singh, lawyer for Pawan K Gupta, starts arguing before SC three-judge bench. On July 9, 2018, your (Pawan) petition was dismissed by this court , but now how come you are coming with some new information, how this will be maintainable?, Justice Ashok Bhushan observed. https://t.co/gcX3PJ85nU
— ANI (@ANI) January 20, 2020
অন্যদিকে গত শুক্রবার সকালে তো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টাও বাদ দিল না। তিহাড় জেলে রাখা হয়েছে চার ধর্ষক-খুনিকে। সেখানেই বিনয় শর্মা (Vinay Sharma) চার নম্বর সেলে একা ছিল। সেলের শৌচালয়েই সে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। তবে মৃত্যুর জন্য নয়, ফাঁসি আটকানোই যছিল বিনয়ের লক্ষ্য এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে বিনয় শর্মার আইনজীবী যখন তাঁর মক্কেলের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ফলাও করে জানাতে ব্যস্ত, তখন তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ।