জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী(Photo credit-IANS)

শ্রীনগর, ২০ জানুয়ারি: সোপিয়ানে নিয়্ন্ত্রণরেখা বরাবর ফের জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটেছে। জঙ্গিরা ওই জেলার বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে। সোমবার সাতসকালে গোয়েন্দাদের তরফে এই খবর পেয়েই অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। সিআরপিএফ ও জম্মু কাশ্মীরের পুলিশের যৌথ অপারেশনে জঙ্গিদের হদিশ মিলতেই শুরু হয় গুলির লড়াই। তখন প্রাণ বাঁচাতে মুড়ি মুড়কির মতো গুলি চালাচ্ছে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দিতে মুহূ্র্ত দেরি করেনি সেনা। বেলা বারোটা নাগাদ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সিআরপিএফ জওয়ানদের ছোঁড়া গুলিতে তিন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরপে কোনও হতাহতের খবর এখনও নেই। একই সঙ্গে জঙ্গিদের ব্যাগপত্তর থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, কার্তুজ ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।

হত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা মৃতরা পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈবা বা জইশ-ই-মহম্মদের সক্রিয় সদস্য হতে পারে। তা না হলে উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য হওয়াও বিচিত্র নয়। আরও পড়ুন-ISI Agent Arrested In Varanasi: ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য পাচার করতে গিয়ে ধৃত আইএসআই চর, বারাণসীতে চাঞ্চল্য

কাশ্মীরে সাধারণ মানুষ ভাল আছে, এই খবর প্রচার করতেই মোদি সরকার নয়া উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একটি দলকে উপত্যকায় পাঠানো হয়েছে। যাঁরা কাশ্মীরের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। সাধারণ বাসিন্দাদের বোঝাবেন, ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে তাঁরা কত দিক থেকে লাভবান হয়েছেন। বরং এখন প্রায় স্বশাসন পেয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উপত্যকায় গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আগেভাগেই বার্তালাপ সেরে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তাঁরা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার সময় শুধুমাত্র সরকারের গুণগান গাইবেন। সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে বিশেষ অধিকার খর্ব করে আদতে কাশ্মীরের মানুষের আখের গুছিয়েছেন। এটাই মোদ্দা বিষয়, যা তাঁদের বোঝাতে হবে। এর মাঝখানে কোনও রাজনৈতিক বার্তালাপ, মন্তব্য নিস্প্রয়োজন। মূলত সরকারের তরফে সেখান বাসিন্দাদের আস্থা অর্জন করাই এই সফররত মন্ত্রীদলের মূল লক্ষ্য থাকবে। জানা গিয়েছে আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত উপত্যকায় থাকতে পারবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।