নতুন দিল্লি, ২৪ জুন: আগামী ২৬ জুন, বুধবার থেকে দেশে কার্যকর হচ্ছে নয়া টেলিকম আইন (Telecommunications Act 2023)। ১৩৮ বছরের পুরনো নিয়ম বদলে আসছে নয়া টেলি কমিউনিকেশন আইন। ভারতীয় টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট ১৮৮৫ এবং ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি অ্যাক্ট (১৯৩৩) বাতিল করার পরিবর্তে চালু হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩। নয়া টেলিকম আইনের গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বিধানের কথা বলা হয়েছে। নয়া টেলকম আইনের ১,২,১০ থেকে ৩০, ৪২ থেকে ৪৪, ৫৫ থেকে ৫৮, ৬১, এবং ৬২ প্রোভিসন কার্যকর হচ্ছে ৩০ জুন থেকে।
এই আইন কার্যকরের ফলে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন কী আসছে? এই আইনের বলে এবার থেকে এর্মাজেন্সি বা আপতকালীন পরিস্থিতি সরকার যে কোনও রকম টেলি যোগাযোগের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেবে। গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিরাপত্তা বা সুরক্ষা, পাবলিক অর্ডার বা কোনও অপরাধমূলক কাজ রুখতে এবার থেকে টেলিকম পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে সরকার। আরও পড়ুন-শুধু মন্ত্রী নয়, রাজ্যসভায় দলনেতাও হলেন জেপি নাড্ডা
সরকারী গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, " সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য টেলি যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী মাধ্যম। কিন্তু এটা কোনও কোনও সময় ভুলভাবে ব্যবহারের ফলে ইউজারের ক্ষতি হতে পারে। এই অ্যাক্ট বা আইন কার্যকর করে অযাচিত বানিজ্যিক যোগ ও প্রতিকার-সুরাহা-অভিযোগ জানানোর সহজ ব্যবস্থার মাধ্যমে ইউজারদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।"
টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩ কার্যকর হওয়ার ফলে এবার থেকে কোনও টেলিকম কোম্পানি যারা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায়, পরিষেবা দিতে চায়, অথচা রেসিও ইক্যুয়পেমন্ট দিতে চায় তাদের প্রয়োজনীয় নথি জমা করে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। জাতীয় সুরক্ষার জন্য যেটি খুবই প্রয়োজনীয়।
এই নিয়ম চালু হলে অযাচিত কল, স্প্যাম কল, প্রতারণা করা ফোন কল থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্যাজেটে দাবি করা হয়েছে, নতুন নিয়মগুলি ব্যবহারকারীদের স্প্যাম এবং ক্ষতিকর যোগাযোগ থেকে রক্ষা করবে। এর পাশাপাশি সমকালীন সরকারি অনুমতি থাকায় টেলিকম নেটওয়ার্ক প্রবর্তন, অবস্থান প্রদানের জন্য অনুমোদিত অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে লাগবে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারকে সাধারণ ডাক্ট এবং কেবল করিডর স্থাপনের ক্ষমতা প্রদান করা হবে।