কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তন হয়েছে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda)-র। এবার রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতাও হচ্ছেন নাড্ডা। গত তিন বছর ধরে এই পদে ছিলেন পীযুষ গোয়েল। কিন্তু তিনি এবারই প্রথম লোকসভায় সাংসদ হয়েছেন। মুম্বই উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতেন এনডিএ-৩ মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পীযুষ গোয়েল। ফলে রাজ্যসভায় দলনেতার পদটি খালি হয়। লোকসভা ভোটের মুখে ৪ এপ্রিল হিমাচল প্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন নাড্ডা। পীযুষের স্থলাভষিক্ত হয়ে রাজ্যসভার দলনেতা নাড্ডার ওপর দায়িত্ব অনেক থাকছে। রাজ্যসভায় এখনও সংখ্যার বিচারে বিজেপির দাপট অনেকটাই। রাজ্যসভায় যেখানে বিজেপির ৯৭ জন সাংসদ আছেন, সেখানে কংগ্রেস-তৃণমূল-আম আদমি পার্টি মিলিয়ে আছে ৫২ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র ৪ জন সাংসদ দূরে আছে এনডিএ। কিন্তু সে সব পুরো হিসেবে। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির আমুল বদল হয়েছে।
আগামী দু বছরে নিশ্চিতভাবেই রাজ্যসভায় বিজেপি-র সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটা কমতে চলেছে। লোকসভায় ৩০৩ থেকে ২৪০-এ নেমে যাওয়ার পাশাপাশি আগামী দু বছরে বেশ কিছু রাজ্যের বিধানসভা ভোটেও বিজেপির সংখ্যা কমার আশঙ্কা রয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে তাই রাজ্যসভায় নিজেদের গড় আগলানো বেশ কঠিন হতে চলেছে বিজেপির পক্ষে। এমন কঠিন সময়ে নাড্ডার ওপরই রাজ্যসভার দায়িত্ব দিলেন মোদী-শাহ।
দেখুন খবরটি
Union Minister and BJP National President JP Nadda has been appointed as the Leader of the House of the Rajya Sabha.
(File Photo) pic.twitter.com/nd8f5BtUu4
— ANI (@ANI) June 24, 2024
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য, সার মন্ত্রকের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি নাড্ডা দেখতে হবে রাজ্যসভাও। এখন প্রশ্ন নাড্ডার জায়গায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কে হন তা নিয়ে। প্রসঙ্গত, পীযুষ গোয়েলের আগে রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা ছিলেন চাঁদ গেহলট। রাজ্যসভায় বিরোধীদের দলনেতা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জন খাড়গে।