মুম্বই, ১১ নভেম্বর: নাবালিকাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের (Minor Raped) পর গলা টিপে খুনের অভিযোগ। তবে খুনের পরও শান্তি হয়নি ধর্ষকের নির্যাতিতার দেহ ফেলে রেখে গেল রেললাইনের উপরে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) বিদ্যাবিহার রেলস্টেশন লাগোয়া লাইনের উপরে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। ধৃতকে ম্যারাথন জেরা করা হচ্ছে। এই খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় আরও কেউ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কি না তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকা গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল। মেয়েকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খুঁজে না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন শিশুকন্যার বাবা-মা।
এদিকে অভিযোগ পেয়েই নাবালিকার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে মুম্বই পুলিশ। প্রথমেই তার বাড়ি লাগোয়া এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। আর সেই ফুটেজ দেখতে পেয়েই অভিযুক্তকে শনাক্ত করে ফেলে পুলিশ। দেখে ৫ তারিখে অর্থাৎ নিখোঁজ হওয়ার দিন ওই শিশুকন্যা একজনের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছে। তদন্তকারী অফিসারদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে এই সেই কালপ্রিট, যে নাবালিকাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে অপহরণ করেছিল। এরপর বিদ্যাবিহার রেল স্টেশন লাগোয়া রেললাইন থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হতেই গোটা ঘটনাটা পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয়রাই প্রথম শিশুকন্যাকে অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। ততক্ষণে কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে যে ধর্ষণ করে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। খবর ছড়াতে না ছড়াতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। নিখোঁজ শিশুর বাবা-মা মেয়েকে শনাক্ত করার পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। নারকীয় নির্যাতনের পর নাবালিকাকে গলা টিপে খুন করা হয়। আরও পড়ুন-TN Seshan Dies: প্রয়াত ভারতের ব্যাতিক্রমী প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশন
Mumbai Police: Body of a 10-year-old girl, who was missing since 5th November, found near Vidyavihar railway station on 9th November. Postmortem report confirms rape, & death due to strangulation. An accused has been taken into custody, further investigation is being conducted. pic.twitter.com/tKemGvvxBF
— ANI (@ANI) November 10, 2019
এরপরেই এলাকার লোক ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে। এদিকে ধর্ষক হাওয়া বুঝতে ফের ওই এলাকায় যেতেই স্থানীয়রা তাকে চিনতে পারে। হাতেনাতে ধরে অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেন। তারপর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। চলছে ম্যারাথন জেরা। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।