'কোটা নয় মেধাকেই অগ্রধিকার দিতে হবে', এই দাবি নিয়ে পথে নেমেছে অসংখ্য বাংলাদেশি যুবক-যুবতিরা। আর সেই কারণে বিগত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ পদ্মাপারের দেশটি। এমনকী ছাত্র আন্দোলন (Bangladesh Quota Movement) ঠেকাতে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ প্রশাসনকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এই আন্দোলনের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে যুবক-যুবতিদের রক্ত। এই অবস্থায় ওপার বাংলায় যে ভারতীয়রা উচ্চশিক্ষা, কাজ কিংবা নিতান্ত ঘুরতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য বার্তা দিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের মূখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এদিন জানান, তাঁরা এই ঘটনা নিয়ে অবগত রয়েছেন। এমনকী খোদ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি নজরে রেখেছেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মোট ১৫ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৮ হাজার ৫০০ জন পড়ুয়া রয়েছেন। তাঁদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন রয়েছি। আপাতত সকলকে অনুরোধ করব, খুব প্রয়োজন না পড়লে যেন তাঁরা ঘর থেকে না বেরোয়। পরিস্থিতি যতক্ষণ না স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ যেন তাঁরা ঘরবন্দিই থাকে। আমরা হাই কমিশনের একটি ট্রাভেল অ্যাডভাইসারি পাঠিয়েছি। আটকে থাকা ভারতীয়রা যেন ভারতীয় হাই কমিশনে যোগাযোগ রাখেন। কোনও সমস্যা হলে সেখানে জানাতে পারেন। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ কি কি নেবো সেই সবকিছু হাই কমিশনে জানাবো। অযথা ভিত হবেন না। আমরা সবধরনের সাহায্য করার জন্য পাশে রয়েছি।
Watch: "So first, let me address the situation in Bangladesh. As you are aware, there is unrest and protests occurring there. We have around 8,500 students and approximately 15,000 Indian nationals residing in the country. We have issued a travel advisory for people to stay in… pic.twitter.com/oGOaP1ZctX
— IANS (@ians_india) July 19, 2024
প্রসঙ্গত. চাকরিক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকার ও সাধারণ জনতার মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। ভারতের মতো বাংলাদেশেও সরকারি সুযোগসুবিধার ক্ষেত্রে আসন সংরক্ষণ বিদ্ধমান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নারী কোটা, জেলা কোটা, উপজাতি কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা রয়েছে। তবে এই সব কোটার থেকে অভিনব হল মুক্তিযোদ্ধা কোটা। আর সমস্ত সমস্যার কারণ নির্দিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা কোটাই। প্রায় ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ রয়েছে এই কোটাতে। আর সেই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। সামনে বাংলাদেশে নির্বাচন রয়েছে। আর সেই নির্বাচনের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য আসন সংখ্যা বাড়াতে চলেছে শেষ হাসিনা সরকার। এই নিয়ে প্রথমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চললেও সরকারের নির্দেশে প্রতিবাদীদের হটাতে এগিয়ে আসে ব়্যাব বাহিনী। আর তাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। কার্যত বুকে গুলি খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে এক ছাত্র। আর তারপরেই রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হয় খুলনা, চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশাল, যশোহর, কুমিল্লার মতো এলাকাগুলিষ