তাপপ্রবাহ। Representational Image. (Photo Credit: PTI)

নয়া দিল্লি, ৪ জুন: গরমের সব মাত্রা যেন ছাড়িয়ে গেল রাজস্থানের চুরু (Churu)-তে। রাজস্থানের বিকানেরের কাছের চুরুতে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনটাই জানাল আবহাওয়া দফতর (IMD)। চলতি বছর দেশে এটাই সবচেয়ে উষ্ণতম দিনের রেকর্ড হয়ে থাকল। রবিবার চুরুতে তাপমাত্রা ছিল ৪৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই পারদ ৫০ ছাড়িয়ে গেল সোমবার। প্রায় ২০ লক্ষ জনসংখ্যার এই অঞ্চলে গরম নিয়ে ক দিনের মধ্যেই তথ্যচিত্রও আনছে বিশ্বের এক বিখ্যাত অঞ্চল।

রবিবার ভারতের মোট ভূখণ্ডের দুই তৃতীয়াংশ ছিল তাপপ্রবাহের কবলে। দিল্লি, জয়পুর, কোটা, হায়দরাবাদ এবং লখনউতে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। চুরু-র মতই গোটা উত্তর ভারত তাপপ্রবাহে ফুটছে। পশ্চিম ভারতেও সেই হাল। দিল্লিতেও তাপমাত্রার পারদ ৪৭ ছুঁয়েছিল। তবে এখন রাজধানী শহরের তাপমাত্রা ৪২.৫ ডিগ্রি। এবার দিল্লিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে আরও কিছুটা। আরও পড়ুন- অবশেষে গরম থেকে মুক্তি, প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে

গরম সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে আছে ভারতের ১০ টি শহর।সিমলা, নৈনিতাল এবং শ্রীনগরের মতো হিমালয়ের ওপরে অবস্থিত শহরগুলিতেও বেশ গরম পড়ছে। সেখানও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সিমলায় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি ,নৈনিতালে তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাতেই পরিষ্কার কী তাপপ্রবাহ চলছে দেশজুড়ে।

তাপমাত্রা মত বায়ু দুষণেও দেশের অবস্থা নাজেহাল। ‘স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার ২০১৯’-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, বায়ুদূষণের প্রভাবে প্রতি বছর ভারতে মারা গিয়েছেন ১২ লক্ষ মানুষ। সোমবার দিল্লির বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি। তবে কলকাতা, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, চেন্নাইয়ের বাতাসে ধূলিকণা কম ধরা পড়েছে। পরিবেশবিদদের মতে, কলকাতা-সহ বাকি তিনটি শহরে বৃষ্টি হওয়ায় ধূলিকণা কমেছে। কাল, বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আগে এই রিপোর্ট উদ্বেগে রাখছে।