শ্রীনগর, ১২ অক্টোবর: বিধিনিষেধ শিথিল হতেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and kashmir) গ্রেনেড (Grenade) হামলা। শনিবার শ্রীনগরের (Srinagar) হরি সিং হাই স্ট্রিটে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। তাতে জখম হয়েছেন ৫ জন। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। শ্রীনগরের হরি সিং হাই স্ট্রিট শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। দুপুরে হঠাৎই গ্রেনেড ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরণস্থানে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।
দুই মাসেরও বেশি সময় পর পরিস্থিতি খানিকটা আয়ত্ত্বে এসেছে মনে করে শনিবারই সরকার ঘোষণা করে যে আগামী সোমবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে পোস্টপেইড মোবাইল সংযোগগুলি ফের চালু করা হবে। এর আগে সেখানকার ল্যান্ডলাইনগুলোও চালু করে প্রশাসন। কিন্তু এই হামলা নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে এই সিদ্ধান্তকে।
শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান সচিব রোহিত কানসাল (Rohit Kansal) বলেন, "পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে পুনরায় চালু করা হবে। কাশ্মীর উপত্যকার দশটি জেলাতেই এই পরিষেবা চালু করা হবে।" ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করেছিল। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল এই পদক্ষেপের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা দেশের বাকি অংশের মতো একই সাংবিধানিক সুবিধা পাবে এবং উন্নয়নের সুফল ভোগ করবে।
বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপক নিরাপত্তা বিধিনিষেধ আরোপ করে। যার মধ্যে ছিল কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার, পর্যটকদের ফিরে আসতে বলা, অতিরিক্ত সেনা মেতায়েন এবং ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা। সম্প্রতি বেশ কিছু বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে শিথিল করে দেয় প্রশাসন। যদিও মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধই থাকে। এবার তা চালু করা হবে।
১০ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক পর্যটকদের জন্য জারি থাকা নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেন। প্রশাসন জানান, পর্যটকদের পর্যান্ত নিরাপত্তা ও যানবাহন পেতে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে। তাছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়াতে এর আগে ২৯ অগাস্ট জম্মুর দোদা, কিশওয়ার, রামবান, রাজৌরি,পুঞ্চ জেলায় পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। গত মাসে, সরকার ল্যান্ডলাইন সংযোগ চালু করে। তবে, একমাত্র সরকারি অপারেটর বিএসএনএল (BSNL)-র পরিষেবাই চালু করা হয়। এই বিধিনিষেধের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।