বিজেপির রঘুবর দাস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন (Photo Credit: Facebook)

রাঁচি, ২৩ ডিসেম্বর: প্রায় ঘণ্টা  দু' য়েক হয়ে গেল চলছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের (Jharkhand Assembly Election) ভোটগণনা (Counting)। প্রাথমিক পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী বিজেপির (BJP) রঘুবর দাস (Raghubar Das) এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) নেতা হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে, তবে রাজ্যে ত্ৰিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি-জেএমএম-র সাপলুডোর খেলায় ওঠানামা লেগেই রয়েছে। আজ সকালে বিজেপি বেশ কিছুটা পিছিয়ে গেছিল। এগিয়ে আসে জেমএমএম। এই মুহূর্তে ভোটগণনার ফল, জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট ৪০ টি আসনে এগিয়ে। বিজেপি ৩১ টিতে এগিয়ে। আজসু এবং জেভিএম ৩ টি করে আসনে এগিয়ে। এবারের কিংমেকার জেভিএমপির বাবুলাল মারান্ডি এবং আজসুর সুদেশ মাহাতো।

ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী (Tribals) ভোট একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ জায়গা রাখে। আদিবাসীরা আপাতত বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ। তাদের আশা ছিল বিজেপি আসার ফলে তাদের দাবিদাওয়া, আশা আকাঙ্খা পূরণ হবে। কিন্তু আদতে তা হয় নি। এছাড়াও জমির অধিকার আইন অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ আদিবাসী মহল। পালামৌ জেলা থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে একাধিক গ্রাম। তাদের প্রবল জলসঙ্কট রয়েছে। সেখানেও কোনও কাজ হয়নি এতদিন। এছাড়াও এনআরসি, সিএএ নিয়ে বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ ঝাড়খণ্ডবাসি। এর প্রভাবই পড়ছে ভোটের ফলে মত একাধিক রাজনৈতিক মহলের। আরও পড়ুন, ঝাড়খণ্ডে ভোট গণনা শুরুতেই এগিয়ে বিরোধী জোট, আশায় জাগছে বিজেপি

গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭ টি স্থান অধিকার করে জয়লাভ করে। আজসুর সঙ্গে জোট করে বিজেপি তার সরকার গঠন করে। জেএমএম গতবছর ১৯ টি আসন অধিকার করে, কংগ্রেস তাদের সঙ্গে জোট বাধে এবং ৭ টি আসন পায়। তবে গতবছর আজসুর সুদেশ মাহাতোকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ না দেওয়ায় ক্ষুন্ন তিনি। তাই এবছর বিজেপি-আজসু জোট হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, চলতি বছরে লোকসভা ভোটের সময়েও বিরোধী শিবির বলেছিল রাজ্যে বিজেপির অবস্থা শোচনীয়। ভোটের ফল বেরোলে দেখা গেল, ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপিতেই ভরসা রেখেছেন।