সুপ্রিম কোর্টের ফাইল ছবি (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৫ নভেম্বর: দিল্লির (Delhi Air Pollution) বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত কার্বনডাই অক্সাইড, এখানে মানুষের বসবাস করাই দায় হয়ে উঠেছে। রাজধানীতে কতগুলি কারখানা চলছে, তাদের বর্জ্য থেকে দূষণের পরিমাণই বা কত, সেই সম্পর্কিত বিশদ রিপোর্ট জানতে দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অরুণ মিশ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে জানিয়েছেন, রাজধানীতে অবস্থিত কারাখানা গুলিত কী কী উৎপন্ন হয় তার যাবতীয় তথ্য আদালতে পেশ করতে হবে। এর পরেই শীর্ষ আদালত পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবের কাছে সেখানকার খড় পোড়ানোর প্রসঙ্গে জানতে চায়। খড় পোড়ানোর বিষয়ে কী ধরনের বিধিনিষেধ নেওয়া যায় তানিয়েও জানতে চেয়েছে আদালত।

এএনআই-এর রিপোর্ট বলছে, পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবকে এদিন খড় পোড়ানো বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে এক হাত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বলেছে, মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে কেমন করে তাদের চিকিৎসা করাবেন। আমাদের বলুন, সুপ্রিম নির্দেশের পরেও কী করে খড় পোড়ানোর কাজ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেল। কেন এই খড় পোড়ানোর কাজ চলছে কি না তা দেখা হল না। এটা কী ব্যর্থতা নয়? এনিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেছেন, “দিল্লির বাসিন্দারা কেন গ্যাস চেম্বারে থাকতে বাধ্য হচ্ছে? তার থেকে তাদের একইসঙ্গে খুন করা হোক। একযোগে ১৫ ব্যাগে বিস্ফোরক পেলেই হত্যালীলা সাঙ্গ হবে। মানুষ কেন এই সব ভোগ করবে? দূষণ পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনা দূরে থাক, কে কার ঘাড়ে দোষ চাপাবে তানিয়েও যত ব্যস্ততা। গোট ঘটনায় হতবাক হয়ে যাচ্ছি।” আরও পড়ুন-Maharashtra Government Formation: অজিত পাওয়ার থাকছেন কি না তা দল ঠিক করবে, ভাইপোকে নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান

বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের অক্ষমতা দেখে অন্য দেশের লোকজন হাসছে। পাঞ্জাবে ঠিক কি ধরনের মেশিন কাজ করছে তার বিশদ বিববরণ চায় সুপ্রিম কোর্ট। তুমি মানুষকে এভাবে মেরে ফেলতে পারো না। দিল্লি রীতিমতো শ্বাসকষ্টে ভুগছে, দম বন্ধ হয়ে গেল বলে। কেননা পাঞ্জাব ধোঁয়া নিয়্ন্ত্রণে কোনও কাজ করছে না। এর মানে এই নয় যে দিল্লি এনসিআরের মানুষ গুলোকে মরতেই হবে। নাহলে ক্যানসারে ভুগতে হবে।