রাঁচি, ২৯ ডিসেম্বর: আজই ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ১১ তম মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। রবিবার দুপুর ২ টো নাগাদ মোরাবাদি ময়দানে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান রয়েছে। যে অনুষ্ঠানে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার প্রধান থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হবেন হেমন্ত। দিনকয়েক আগেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই দিনটিকে ঝাড়খণ্ডের নতুন পর্যায়ের 'সংকল্প দিবস' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। এদিন তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা দেশের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের।
বলা চলে ঝাড়খণ্ডে আজ হেমন্ত সোরেনের শপথের মঞ্চ কার্যত হয়ে উঠছে বিরোধী জোটের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি-সহ (Pranab Mukherjee) কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। এছাড়া অরবিন্দ কেজরীওয়াল, তেজস্বী যাদব সেই সঙ্গে সনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পি চিদম্বরমের শপথের মঞ্চে হাজির থাকার কথা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেরও হাজির থাকার কথা। সব মিলিয়ে হেমন্তের শপথগ্রহণ হতে চলেছে বিরোধীদের মেগা শো (Mega Show)। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে ইতোমধ্যেই রাঁচি পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শনিবার দুপুরেই পড়শি রাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেন মমতা। রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করতে আসেন ঝাড়খণ্ডের ভাবি মুখ্যমন্ত্রী। মমতার পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন তিনি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বিরোধী ঐক্যে ফাটলের সুযোগ নিয়ে নাগরিকত্ব বিলকে রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নিতে পেরেছিল বিজেপি। এদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিরোধী হাওয়ায় পাল তুলে দেশের বিজেপি-বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ তরণী পার করাতে মরিয়া দেশের বিরোধী দলগুলি। হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান যেন তাই বিজেপি-বিরোধী দলগুলির কাছে কার্যত সেই সুযোগ করে দিয়েছে। বাস্তবেও তাই ঘটতে চলেছে। আরও পড়ুন: TMC Delegation At Mangaluru: মেঙ্গালুরুতে নিহতদের পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দিল তৃণমূল
Hemant Soren to take oath as 11th Chief Minister of Jharkhand today
Read @ANI Story | https://t.co/VAzmXOFo0S pic.twitter.com/b42r8TjbS2
— ANI Digital (@ani_digital) December 29, 2019
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। গতবারের চেয়ে তাদের ১২টি আসন কমেছে। জামশেদপুর-পূর্বে হেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও (Raghubar Das)। সেখানে বিরোধী জোটে জেএমএম ৩০টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ১টি আসন পেয়েছে।