মেঙ্গালুরু, ২৮ ডিসেম্বর: কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) প্রতিবাদ বিক্ষোভে দুই নিহতের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার মেঙ্গালুরুতে (Mangalore) নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর (Dinesh Trivedi) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৫ লাখের চেক। এছাড়াও ইউনিটি হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভের সময় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেতারা। ১৯ ডিসেম্বর মেঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা সরকারি সাহায্যের ঘোষণা করলেও পরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি জানান, "অপরাধীদের মৃত্যুতে আর্থিক সাহায্য দেওয়া অপরাধ।"
এরপরই নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (NRC) বিরোধিতায় যেদিন রাজাবাজার থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। সেদিনই তিনি দুই নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন। কর্নাটকের BJP শাসিত সরকারকে তুলোধোনা করে তিনি বলেন, "নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে ওই রাজ্যের সরকার। তৃণমূল গরিব দল হলেও মানুষের সঙ্গে থাকে, মানবিকতার পাশে থাকে।" আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: 'NPR ও NRC নোটবাতিলের দ্বিগুণ ধ্বংসাত্মক', বললেন রাহুল গান্ধী
Trinamool Congress delegation @DinTri and @MdNadimulHaque6 visited the families of those who died during protests against #NoCAANoNRC in Mangalore and handed over cheques as compensation pic.twitter.com/1lheZJ1gCU
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 28, 2019
আজ দীনেশ ত্রিবেদী ও নাদিমুল হক (Nadimul Haque) মেঙ্গালুরু গিয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। এছাড়াও ইউনিটি হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভের সময় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেতারা। আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলনের বার্তা দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। সেই প্রেক্ষিতে গত রবিবার উত্তরপ্রদেশে ৪ প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলেন মমতা। যদিও লখনউ বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে। এ ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা। এরপর ফের আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।