ভারতে প্রতিষেধক(Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২১ ডিসেম্বর: নতুন বছর শুরু হতে আর মাত্র ১০ দিনের অপেক্ষা। করোনার তাড়ণায় যত তাড়াতড়ি পারে ২০২০ বিদায় নিক, এটাই চাইছেন সকলে। কিন্তু নতুন বছরে কী ভাইরাসের আতঙ্ক যাবে? সেই উত্তর কারোর কাছে না থাকলেও একটা বিষয় সকলেই জানেন যে করোনার টিকা চলে আসবে খুব শিগগির। সোমবার সেই আশ্বাসকে আরও দৃঢ় করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন (Harsh Vardhan)। তিনি জানান, ভারত আগামী ২১-এর জানুয়ারিতেই টিকাকরণের জায়গায় চলে আসবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর টুইটে জানা গিয়েছে, গত ৪ মাসধরে কেন্দ্রের সরকার এনিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে জেলা ও ব্লক স্তরে প্রস্তুতি নিয়েছে। আরও পড়ুন-New Mutated Coronavirus: ক্রিসমাসের আগেই ইংল্যান্ড ফেরত যাত্রীর শরীরে পরিবর্তিত করোনার জীবাণু, ইটালিতে শোরগোল

তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম প্রাধান্যই হল প্রতিষেধকের কার্যকারীতা ও নিরাপত্তা। এক্ষেত্রে আমরা কোনওরকম সমঝোতা চাই না। আমি মনে করছি হয়তো আগামী জানুয়ারির কোনও সপ্তাহেই আমরা দেশবাসীর শরীরে করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে পারব। এই প্রতিষেধখ প্রক্রিয়াকে সচল করতে কেন্দ্র রাজ্য জেলা ব্লক স্তরে টাস্কফোর্স তৈরি করেছে। দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষ এই টিকাকরণ চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রতিটি রাজ্য এবং ২৬০টি জেলার মোট ২ লাখ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে সরকারে প্রথমে দেশের ৩০ কোটি জনতার টিকাকরণ নিশ্চিত করছে। এই তালিকায় রয়েছেন স্বাস্থকর্মীরা। এছাড়া প্রথম সারিতে থেকে যাঁরা লড়াই করছেন। অর্থাৎ পুলিশ, সেনা, স্যানিটেশন কর্মী এবং পঞ্চাষোর্ধ নাগরিকরা। তবে ৫০–এর নিয়ে বয়স অথচ কঠিন রোগে ভুগছেন এমন নাগরিকরাও এই ৩০ কোটির তালিকায় রয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, এই কোভিড-১৯ হয়তো পোলিওর মতো নির্মূল হবে। যদিও পোলিও এবং কোভিড-১৯ দুটোই আলাদা রোগ। যদিও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এটিকে দূর করা সম্ভব। করোনার ভয়াবহতাও এক সময় হ্রাস পাবে। তবে দেশ থেকে এখন করোনার আতঙ্ক অনেকটাই কেটেছে। কিন্তু নিরাপদে থাকতে মানুষকে এখনও কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে।