শ্রীনগর, ১৭ অগাস্ট: কংগ্রেস ছাড়ার পথে আরও এক বর্ষীয়াণ অভিজ্ঞ নেতা। কপিল সিব্বলের পর এবার হয়তো গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেসে গান্ধী পরিবার বিরোধী জি-২৩ গোষ্ঠীর জম্মু-কাশ্মীরের নেতা গুলাম নবি আজাদ হাতছাড়া হওয়ার। গতকাল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মীরে সংগঠন ঢেলে সাজায় কংগ্রেস। চলতি বছর উপত্যকায় বিধানসভায় ভোট হতে পারে বলে জোর জল্পনা। তার আগে সংগঠন ঢেলে সাজাতে গিয়ে গুলাম নবি আজাদকে হারাতে চলেছে কংগ্রেস। তবে শুধু আজাদ নয়, সংগঠনের রদবদলে ক্ষুব্ধ হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের অনেক কংগ্রেস নেতাই দল ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা। সংগঠনের রদবদল করে তাঁকে কোণঠাসা করা হয়েছে বলে ঘনিষ্ঠমহলে আজাদ জানিয়েছেন।
আজাদ অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরেই বেসুরে বাজচ্ছেন। তবু তাঁকে কাছে টানার অনেক চেষ্টা করেছেন সোনিয়া গান্ধী। আজাদকে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের বড় পদ দিলেও, তার ঘনিষ্ঠ নেতাকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানোয় ক্ষুব্ধ হন আজাদ। জম্মু এবং কাশ্মীরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে আজাদ ঘনিষ্ঠ গুলাম আহমেদ মীরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরও পড়ুন-যৌন উদ্দীপক পোষাক পরিহিত অবস্থায় শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্তার আওতায় পড়বে না; জানাল কেরালার আদালত
জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের কিছুক্ষণ পরেই তিনি তা থেকে পদত্যাগ করেন। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার পাশাপাশি দল ও সরকারে নানা সময় বড় পদে ছিলেন তিনি। বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদে গুলাম নবি আজাদকে প্রার্থী করাতে চাইলেও তিনি তাতে রাজি হননি। বরং বলেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীর রাজনীতির কঠিন সময়ে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান না।
জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের প্রচার কমিটি, রাজনৈতিক ঘটনা পর্যালোচনা কমিটি, সম্বন্বয় কমিটি, ইস্তেহার কমিটি, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এবং প্রদেশ নির্বাচন কমিটি ভেঙে নতুন করে গঠন করেছেন সোনিয়া গান্ধী।