Dushyant Chautala: সমর্থন তোলার 'শাস্তি', এবার চৌতালের দলে ভাঙন, পিছনে কি বিজেপি?
মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন খট্টর। ডেপুটি হিসেবে শপথ চৌতালার। (Photo Credits: ANI)

এবার হরিয়ানার আঞ্চলিক দল দুষন্ত চৌতালের দলে ভাঙন। বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন জেজেপি প্রধান দুষন্ত চৌতালা। এরপর চৌতালার দলের চার বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে রাজভবনে গিয়ে বিজেপির নতুন মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি-কে সমর্থন জানাতে উপস্থিত হন। ১০ জনের বিধায়কের চৌতালের দল এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। কারণ জেজেপি-র আরও দুই বিধায়ক বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন বলে খবর।

শিবসেনা থেকে এনসিপি। দলে ভাঙন ধরানো নয়, দলের মধ্যে উপদলীয় বিদ্রোহ তৈরি করে মূল দলকেই চ্যালেঞ্জে ফেলে দেওয়া। সাম্প্রতিক কালে বারবার ভারতীয় রাজনীতিতে এই মডেল দেখা যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের দুই বড় দল শিবসেনা ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রসে পার্টিতে উপদল তৈরি করে ভাঙা হয়েছে। উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে এসে বিজেপির হাত ধরে সিংহাসনের সঙ্গে আসল শিবসেনার তকমাও পেয়েছেন একনাথ শিন্ডে। ঠিক একই রকম করে আসল এনসিপি-র চিহ্ন পেয়েছেন অজিত পাওয়ার। এবার কী হরিয়ানায় বিজেপির দীর্ঘদিনের শরিক জননায়র জনতা পার্টি (জেজেপি)-র সেই হাল হতে চলেছে?

হরিয়ানায় বিজেপির কাছে দুটি লোকসভা আসন চেয়েছিলেন জেজেপি প্রধান দুষন্ত চৌতালা (Dushyant Chautala)। কিন্তু বিজেপি সেটা একেবারেই দিতে চায়নি। এরপর চৌতালা হরিয়ানার বিজেপি-র সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। এরপর মনোহর লাল খট্টার-কে সরিয়ে নায়াব সিং চৌহানকে গদিতে বসায় বিজেপি। নির্দল বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে কোনওরকমে সরকার বাঁচাচ্ছে বিজেপি। জেজেপি-র ৪ জন বিধায়ক বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন। চৌতালের দলের ২-৩ বিধায়কের সঙ্গেও কথা চলছে গেরুয়া শিবিরের। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত কিছুই হয়নি। কারণ দুষন্ত এখন কী করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমন সময় উদ্ভব, শরদ পাওয়ারদের মত হাল হতে পারে দুষন্তের। তবে খুব শীঘ্রই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে।

২০১৯ হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপি ৪০টি, কংগ্রেস ৩১টি , চৌতালাদের জেজেপি ১০টি ও নির্দলরা ৭টি আসনে জেতে। সরকার গড়তে হলে বিজেপির আরও ৬ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার ছিল। সেই সময় চৌতালা এগিয়ে এসে বিজেপি-কে সমর্থন করেন। মুখ্যমন্ত্রী হন মনোহর লাল খট্টার, উপমুখ্যমন্ত্রী হন দুষন্ত চৌতালা। সেই সময় চৌতালা কংগ্রেসের হাল ধরলে হরিয়ানায় হাত সরকার হওয়ার সম্ভবনা ছিল।