নতুন দিল্লি, ১৪ এপ্রিল: লকডাউনের (Lockdown) সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি সমস্ত আন্তর্জাতিক (International) ও অভ্যন্তরীণ (Domestic) উড়ান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিমান পরিবহন মন্ত্রক। আগামী ৩ মে রাত ১১ টা ৫৩ মিনিট কোনো বিমান চলবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি পণ্যসামগ্রীর বিমান চালানো হবে। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের (Lockdown In India) সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। সেই ভাষণেই তিনি আরও বলেন, 'সবক'টি রাজ্য এবং রাজ্যের নাগরিকেরা চাইছেন লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হোক। লকডাউনের জন্যই আমাদের দেশ অন্য উন্নত দেশের তুলনায় এখনও অনেক ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছে।' পাশাপাশি সমস্ত প্যাসেঞ্জার, মেল, এক্সপ্রেস, কলকাতা মেট্রো রেল সবই বন্ধ রাখা হবে।
১৪ এপ্রিলই লকডাউনের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। দিন দু'য়েক আগেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও-বৈঠক করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ইস্যুতে সায় দেন মুখ্যমন্ত্রীরা। এবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে বললেন, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নয়। ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হল লকডাউনের সময়সীমা। নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি রাজ্য, প্রতিটি জেলা কড়া নজরে রাখা হবে। কারণ আগামী ১ সপ্তাহ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। হটস্পটগুলো সম্পর্কে আগামীদিনে আরও সতর্ক থাকতে হবে। সংক্রমণের মাত্রা যাতে আর না বাড়ে। সেদিকেই খেয়াল রাখতে হবে। হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত এলাকা থেকে বাইরে বেরোনোর উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকবে।' আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই ৩ মে পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল ভারতীয় রেলের
All domestic and international scheduled airline operations shall remain suspended till 11.59 pm, 3rd May: Ministry of Civil Aviation pic.twitter.com/dJaOJfVMzJ
— ANI (@ANI) April 14, 2020
লকডাউনের জেরে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দেশের দিন আনি দিন খাওয়া মানুষগুলো। কৃষকদের জন্য এই মাসটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের কথা যথাযথভাবে মাথায় রেখে একটি নির্দেশিকা পেশ হবে আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস্ত করেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন এবং ওষুধ রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, দেশে ৬০০-র বেশি হাসপাতাল এবং হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি। করোনা-মোকাবিলায় এই ৬০০টি হাসপাতালই কাজ করছে। মোদি বলেন, 'সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং এবং লকডাউনের জেরে দেশের পরিস্থিতি আজ অনেকটা ভাল রয়েছে। আর্থিক দিক থেকে দেশ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু এর তুলনায় দেশবাসীর জীবন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'