নতুন দিল্লি, ৬ এপ্রিল: লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। বিদেশে তো বটেই, ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েই চলেছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০৪ জন। এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪, ২৮১। মৃত্যুর সংখ্যা ১১১। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৬৭। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৩ জন। যা এক দিনে সর্বোচ্চ। সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯১ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০। মৃতের সংখ্যা ৩। সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯০। গত ১৫ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই রাজ্যে। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২০০। মৃত্যুর নিরিখেও শীর্ষস্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। ৫৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই রাজ্যে। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। এখানে মোট আক্রান্ত ৫০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং দিল্লির পর রয়েছে, তেলঙ্গানা (৩২১), তার পর কেরল (৩১৪), রাজস্থান (২৫৩), উত্তরপ্রদেশ (২২৭), মধ্যপ্রদেশ (১৬৫), কর্নাটক (১৫১), গুজরাত (১২২)। আরও পড়ুন, ৫৫ জন জুনিয়র ডাক্তার, নার্সদের কোয়ারেন্টিনে পাঠালো এনআরএস হাসপাতাল
মহারাষ্ট্রে ভাইরাসের কারণে ৪৫ জন মারা গেছেন, অন্যান্য রাজ্যগুলিতে- গুজরাট (১২), মধ্যপ্রদেশ (৯), তেলেঙ্গানা (৭), দিল্লি (৭), তামিলনাড়ু (৫), পাঞ্জাব (৬), কর্ণাটক (৪), পশ্চিমবঙ্গ (৩), উত্তরপ্রদেশ (৩), অন্ধ্র প্রদেশ (৩), জম্মু ও কাশ্মীর (২), কেরালা (২), হিমাচল প্রদেশ (১) এবং বিহার (১)।
দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামায়াতের ঘটনার কারণে কোভিড -১৯ মামলার সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। দেশে ১,৪০০ টিরও বেশি মামলা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের যোগদান করেছিলেন। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মামলায় ১.২৭ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং মোট মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৭০,০০০ এর কাছাকাছি। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক সংখ্যক মামলা রয়েছে (৩৩৭,৯৭১), তারপরে স্পেন (১৩৫,০৩২), ইতালি (১২৮,৯৮৪) এবং জার্মানি, যেখানে এক লাখেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে।