
মুম্বই, ২৮ এপ্রিল: ধারেভারে আরও বাড়তে চলেছে বাইশ গজের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। ৫৯ থেকে ৭৪, তারপর একেবারে একলাফে ৯৪টি ম্যাচ খেলা হতে চলেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে। ২০২৮ সালে আইপিএলের ২০তম সংস্করণ থেকে আইপিএল ধারেভারে বেড়ে ৯৮ ম্যাচের হতে পারে। ২০২২ সাল থেকে আইপিএলে মোট ৭৪টি ম্যাচ খেলা হচ্ছে। ২০০৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত আইপিএলে প্রতিটি মরসুমে মোট ৫৯টি ম্যাচ হয়। রেকর্ড টাকার সম্প্রচার স্বত্ত্ব, নজিরগড়া স্পন্সরশিপ অর্থ, রেকর্ড পরিমাণ দর্শক টিভি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে খেলা দেখায় আইপিএলের ব্র্য়ান্ড ভ্যালু আকাশছোঁয়া জায়গায় দাঁড়িয়েছে।
আইপিএল শুরু হয়েছিল মোট ৫৯টি ম্যাচ দিয়ে
বোর্ড কর্তারা তাই তাদের সোনার হাঁকে আরও বেশী বাড়াতে চাইছেন। আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুণ ধামাল ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৮ আইপিএল থেকে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে ৯৪টি হতে পারে। মানে এক লাফে আইপিএলে বেড়ে যাচ্ছে ২৪টি ম্যাচ। তবে নতুন করে আর কোনও ফ্র্য়াঞ্চাইজিকে অদূর ভবিষ্যতে আইপিএলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। এখন আইপিএলে মোট ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলছে। ২০২২ সালে গুজরাট টাইটাইন্স ও লখনৌ সুপার জায়েন্টস-নতুন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে আইপিএলে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে আইপিএলে মোট সংখ্যা ৫৯ থেকে বেড়ে ৭৪টি হয়। এবার জোর জল্পনা ছিল, এবারের আইপিএলে মোট ৮৪টি ম্য়াচ হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচির চাপে তা আর সম্ভব হয়নি।
এখন কীভাবে খেলা হয়
এখন আইপিএলের ১০টি ফ্র্য়াঞ্চাইজি দল লিগ পর্যায়ে সবার সঙ্গে অন্তত একবার, আর নিজেদের গ্রুপে দলের সংখ্যা হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি করে ম্যাচ খেলে। যেমন এবারের আইপিএলে বেঙ্গালুরু, রাজস্থান, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দু বার করে খেলছে, কিন্তু মুম্বই, দিল্লি, লখনৌ, গুজরাটের বিরুদ্ধে একবার করে মুখোমুখি হয়েছে। ২০২৮ সাল থেকে লিগ পর্যায়ে ১০টি দলই একে অপরের সঙ্গে দু বার করে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলতে পারে। প্লে অফেও ম্যাচ সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি না বাড়ালেও টুর্নামেন্টে ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানো যায়। বোর্ড কর্তারা মনে করেছেন, আইপিএলের কটা মাসে যেভাবে রোজগার হচ্ছে, ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে, তাতে টুর্নামেন্টের সময়সীমা ও ম্যাচ সংখ্যা দুটিই বাড়ানো যায়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে আগ্রহ কমায় আইসিসিও চাপে আছে।