নতুন দিল্লি, ২৪ অগাস্ট: এইচএমএফডি বা টম্যাটো ফ্লু (Tomato Flu) নিয়ে বার্তা দিল কেন্দ্র। এই রোগটা ১-১০ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে হচ্ছে এবং কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এর কোনও ওষুধ নেই। আরও পড়ুন-Sonali Phogat Dies: সোনালী ফোগাটের কোনওরকম অসুস্থতা ছিল না, সিবিআই তদন্ত চাইলেন দিদি রামন
উপদেষ্টা বলেছেন সাধারণ ফ্লু-এর মতই এই রোগের লক্ষণ (জ্বর, গা হাত পা ব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকে র্যাশ হওয়া ইত্যাদি), কিন্তু এটির সারস কোভ-২, মাঙ্কিপক্স, ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
এই রোগ হলে রোগীর চারপাশে স্যানিটাইজ করতে হবে এবং রোগীকে ৫-৭ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। গত ৬মে ২০২২- এ প্রথম এই রোগটি কেরলার কোল্লামে দেখা যায়। পাঁচ বছরের নিচে বয়সের ৮২টি বাচ্চাদের মধ্যে এই রোগ হয়েছিল।পরে ওড়িশাতেও ২৬ জন শিশুর শরীরে মিলেছিল এই রোগ।
টোম্যাটো ফ্লুর জন্য তামিলনাড়ু ও কর্ণাটককেও সাবধান করা হয়েছিল, যেহেতু কেরালাতে এই রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে। এছাড়া ওড়িশাতেও ২৬ জনের শরীরে এই রোহের জীবাণু পাওয়া যায়। তবে কেরালা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা ও হরিয়ানা ছাড়া আর কোনও রাজ্যে এই রোগটি মেলেনি।
টোম্যাটো ফ্লু একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় টোম্যাটো আকৃতির লাল লাল ফোস্কা হওয়া। ফোস্কাগুলি প্রথমে ছোট্ট আকৃতির হয় এবং পরে বড় হয়ে লাল হয়ে টমেটোর মত দেখতে হয়ে যায়। অন্যান্য ফ্লুয়ের মতই এই রোগের লক্ষণ। জ্বর, গায়ে হাত পায়ে ব্যাথা, ত্বকের ওপরর্যাশ বেরোনো ইত্যাদি। এছাড়া ক্লান্তি, গা গোলানো, দুর্বলতা, ডায়েরিয়া, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি, বলেছেন স্বাস্থ্য দফতর।
এইচএমএফডি জ্বর, মুখের ভিতর জ্বালা এবং ত্বকের ওপর র্যাশ দিয়ে শুরু হয়। অনেকসময় হাল্কা জ্বর, খিদে না থাকা এবং গলা ব্যাথাও হতে পারে। জ্বর হওয়ার দু তিন দিনেরমধ্যেই ফোস্কা পরে এবং তারপর সেগুলি বড় হয় এবং ঘা হয়ে যায়। এগুলি জিভে, মাড়িতে, গালের ভেতর এবং হাতের তালুতে হয়।