চার দিনের ভারত সফরে দিল্লিতে পৌঁছালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , তিস্তা জলবন্টন চুক্তি, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত
দিল্লিতে শেখ হাসিনা(Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ৩ অক্টোবর: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে চারদিনের ভারত সফরে দিল্লি পৌঁছালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রধান অতিথি হচ্ছেন হাসিনা। সূত্রের খবর, পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আগামী পাঁচ অক্টোবর অর্থাৎ দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে হাসিনার দেখা হওয়ার কথা। যদিও গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় পার্শ্ববৈঠক হয় এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হয়েছে। সেই সময় উপমহাদেশের সন্ত্রাস প্রসঙ্গে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দীর্ঘ বার্তালাপ হয়েছে। কী কী পদক্ষেপ সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য জরুরি তা নিয়েও আলোচনা হয়।

শেখ হাসিনার সফর প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকটি মৌ-স্বাক্ষর করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তিস্তা জলচুক্তি, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জোর আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে তিনটি দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন তাঁরা। সম্ভবত এনআরসি ইস্যু নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হবে। কয়েকদিন আগেই কলকাতায় গিয়ে অমিত শাহ বলে এসেছেন, অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের তাড়ানো হবে। শরণার্থী হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সিদের কোনও ভয় নেই। তারা নাগরিকত্ব পাবে। এরপরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর তাৎপর্যবাহী বৈকি। আরও পড়ুন-বাপু তুমি কোথায় গেলে, গান্ধী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে কেঁদে ভাসালেন সমাজবাদী পার্টির নেতা, (দেখুন ভিডিও)

এদিকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সায়েদ মুয়াজ্জেম জানিয়েছেন, এই সফরে যোগাযোগ, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে মৌ-স্বাক্ষর হবে। এদিকে শোনা যাচ্ছে হাসিনার ভারত সফরের খবর পেয়েই তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই বার্তালাপে নাকি ভারত পাকিস্তান সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এমন জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের তরফে বলা হয়েছে, এটি সৌজন্যমূলক বার্তালাপ ছিল। অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় কিন্তু কোনওরকম পার্শ্ব বৈঠকের সুযোগ পাননি হাসিনা ও ইমরান খান।