নতুন দিল্লি, ১৯ নভেম্বর: মাত্র একদিন আগেই ভয়াবহ তুষার ধসের কবলে পড়ে শহিদ হয়েছেন চার সেনা জওয়ান ও দুই মালবাহক। ধসের নিচে চাপা পড়েও কোনও ক্রমে বেঁচে ফিরতে পেরেছেন দুজন সেনাকর্মী। মঙ্গলবার সেই সিয়াচেন হিমবাহের বর্তমান পরিস্থিতির বিশদ বিবরণ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Defence Minister Rajnath Singh) জানালেন সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Army Chief Gen Bipin Rawat)। কারাকোরাম রেঞ্জের ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় এই সিয়াচেন হিমবাহ। পৃথিবীর সবথেকে উচ্চতম সেনাচৌকি। যেখানে বিদেশি আক্রমণ প্রতিহত করতে নিরন্তর প্রহরায় রয়েছে সেনাবাহিনী। তবে যত না বিদেশি শত্রুর ভয়, তার থেকেও বেশি সতর্ক থাকতে হয় ফ্রস্টবাইটস ও মাইনাসের নিচে নেমে যাওয়া তাপমাত্রা। এই দুটোর কবলে পড়লে বেঁচে ফেরা সত্যিই দুস্কর।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় হিমবাহের (Siachen Glacier) উত্তরাংশে তুষার ধস হয়। এই তুষার ধসে সেনা ক্যাম্পের বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখনই বরফের নীচে চাপা পড়ে যান টহলদারিতে বেরনো এই জওয়ান ও পোর্টাররা। খবর পেয়েই উদ্ধারকারী দল পৌঁছে যায় সিয়াচেনে। সেখানে উপস্থিত অন্য জওয়ানরা তার আগেই উদ্ধারের কাজ শুরু করে দেন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় বরফের নিচ থেকে সবাইকে বের করে আনা হয়। সবাই খুবই গুরুতর আহত ছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই চার জওয়ান ও দুই পোর্টার মারা যান। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁদের হেলিকপ্টারে করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত জওয়ান ও পোর্টারদের মরদেহও হেলিকপ্টারে করে নিচে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন-Avalanche Strikes In Siachen Glacier: সিয়াচেনে ভয়াবহ তুষার ধসে নিখোঁজ ৮ সেনাকর্মী, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল
Deeply pained by the demise of soldiers and porters due to avalanche in Siachen. I salute their courage and service to the nation. My heartfelt condolences to their families.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) November 19, 2019
ভারতীয় সেনার এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, “জওয়ানরা প্রত্যেক দিনের মতোই টহলদারির কাজে গিয়েছিলেন। সেই সময় ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার ফুট উচ্চতার মধ্যে তুষার ধসের কবলে পড়ে বরফের মধ্যে আটকে পড়েন তাঁরা। তাঁদের উদ্ধার করে আনার জন্য এক বড় উদ্ধারকারী দলকে সেখানে পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে গুরুতর জখম হয়ে গিয়েছিলেন সবাই। তাই উদ্ধার করা গেলেও চার জওয়ান ও দুই পোর্টারকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাকিদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।”