সিয়াচেন হিমবাহ (Photo Credit: IANS)

শ্রীনগর, ১৮ নভেম্বর: সিয়াচেন হিমবাহের (Siachen Glacier) উত্তরাংশে ভয়াবহ তুষার ধস(major avalanche)। এই ধসের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রহরারত সেনা (soldiers)। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ধস নামে সিয়াচেন উত্তরাংশে। সেখানেই ১৮০০ ফুট উচ্চতায় পাহারা দিচ্ছিলেন সেনা জওয়ানদের একটি দল। ছিল সেনা চৌকি। এই আচমকা ধস নামায় সেনা চৌকির একাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকজন সেনা তুষার ধসের নিচে চাপা পড়েছেন। সতীর্থদের উদ্ধার করতে তখনই বাকিরা বরফ খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে দিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল।

শেষ পাওয়া খবরে এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক তথ্য মেলেনি। মনে করা হচ্ছে, তুষার ধসের নিচে প্রায় আট জন সেনা চাপা পড়ে আছেন। তাঁরা সিয়াচেন হিমবাহের সংশ্লিষ্ট এলাকায় রুটিন টহল দিচ্ছিলেন, সেই সময়ই এই ঘটনা ঘটে। তবে এই প্রথম নয় আগেও সিয়াচেন হিমবাহের স্রোত ডুবিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনীকে। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি মাসে এমনই এক তুষার ধসে তলিয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন সেনাবাহিনীর একটি টহলদার দল। সেই সময় ১০জন সেনা ধসের নিচে চাপা পড়ে যান। আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকারী দল সমস্ত রকম শক্তি দিয়ে কাজে নামলেও তুষার ধসে চাপা পড়ে থাকা সেনাদের দিনের দিন উদ্ধার করতে পারেননি। প্রায় ছদিন পর একে একে নিথর দেহগুলি যখন ধস সরিয়ে তোলা হচ্ছে তখনই দেখা যায় একজনের খুব ক্ষীণ হলেও শ্বাস চলছে। ৩২ বছরেরওই সেনা ল্যান্সনায়েক হনুমান থাপা কোপার। টানা ছয় দিন তুষার ধসে চাপা পড়ে থেকেও তিনি বেঁচে যান। আরও পড়ুন-Maharashtra Deadlock: চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় চাই, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদর বললেন শরদ পাওয়ার

সিয়াচেন সীমান্তে ভারত পাকিস্তান দুই দেশের সেনারাই পাহারা দেন। প্রতিবছর শীত এলে যেন যেন বিপদের আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে থাকে সিয়াচেনের সেনা চৌকি। গোটা শীতেই তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেই থাকে। একে ঠান্ডার মরণ কামড় সঙ্গে আচমকা তুষার ধসের আতঙ্ক এই সবকিছুকে সঙ্গে করেই চলত পাহারার কাজ। ক্ষমতায় আসার আগে ইমরান খান বলেছিলেন, প্রতিবছর এত সেনার মৃত্যুর হার কমানোর জন্যই সিয়াচেনে চৌকি রাখবেন না। পাকিস্তানি সেনাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।