প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি (Photo Credits: Facebook)

বহুদিন বাদে প্রাণ খুলে মনের কথা বললেন টলিপাড়ার বুম্বাদা। শুধুমাত্র ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই নয়। বক্সঅফিস সফল বিগবাজেটের বাণিজ্যিক ছবির উপার্জনেই কোনও ইন্ডাস্ট্রি এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ দেখাতে পারে। হল ভাড়া করে সমান্তরাল ছবির প্রদর্শনের আয়োজন করতে পারে। এমনটাই মনে করেন বাংলা সিনেমার প্রবাদ প্রতিম অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি (Prasenjit Chatterjee)। তিন দশক ধরে বাংলা ছবির ভূত ভবিষ্যৎ যাঁর উপরে নির্ভর করে চলছে সেই বুম্বাদা বললেন, “যদি গল্প নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার ইচ্ছে থাকে তাহলে অবশ্যই বাণিজ্যিক ছবির ধারবাহিক সাফল্য প্রয়োজন। কেননা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিক ছবির ভাষা বদলে যাচ্ছে। তবে বিগবাজেটের বাণিজ্যিক ছবির সাফল্য কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির আর্থিক সমৃদ্ধির একমাত্র উপায়।”

তিনি বলেন, “যখন আমি প্রথম অভিনয়ে আসি এবং বাণিজ্যিক ছবির লিডরোলে অভিনয় করি। সে সময় ছবির বাজেট থাকতো ২০ লাখ টাকা মতো। যখন আমি মেনস্ট্রিম ছবির প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে ঋতুপর্ণ ঘোষ, গৌতম ঘোষ, কৌশিক গাঙ্গুলি, সৃজিং মুখার্জি, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করা শুরু করি তখন বাংলা ছবির বাজেট ২ কোটি টাকা খরচের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। ২০ লাখের বাজেট থেকে পরে ২ কোটির ইকোনমিক গ্রোথ, এই জার্নির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি। এর নেপথ্যে রয়েছে সেইসব বাণিজ্যিক ছবির সাফল্য।” আরও  পড়ুন- UP BJP MLA Protest Against Police: পুলিশকে বর্ণবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে রাতভর থানায় বিক্ষোভ যোগীর রাজ্যের বিজেপি নেতার

১৯৬৮ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম টলিউডে প্রসেনজিতের অভিষেক হয়। তিনি জানান, আমরা যখন সিনেমা তৈরির কাজকে ব্যবসা হিসেবে দেখছি, তখন প্রোডাকশন হাউসকেও তো উপার্জন করতে হবে। তাই কোনওভাবেই বাণিজ্যিক সিনেমা থেকে দৃষ্টি ঘোরানো সম্ভব নয়। বলিউড ছবির উদাহরণ টেনে প্রসেনজিৎ বলেন, বাধাই হো ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল, ঠিক? আবার রোহিত শেট্টির পুলিশ নাটকও সফল। আমি বলতে চাইছি, ইন্ডাস্ট্রিতে এই দুটোরই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এবং বাণিজ্যিক ছবির দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতেই হবে।