Donald Trump's Reaction (Photo Credit: X/Screengrab)

Donald Trump Election: ফের বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে জোর করে, অনৈতিক উপায়ে হারানো হয়েছিল। এমন দাবি ট্রাম্প বারবার করেন। তাঁর যুক্তি, ভোটিং মেশিন ও মেল-ইন-ব্যালটে অনিয়ম করে জো বাইডেনকে জোর করে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোটিং প্রক্রিয়া থেকে ইভিএম বা ভোটিং মেশিনকে বাতিল করতে চলেছেন ট্রাম্প। হোয়াইটহাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন (Midterm Elections) এর আগে মেইল-ইন ব্যালট ও ভোটিং মেশিন (EVM) নিষিদ্ধ করতে তিনি একটি এক্সিকিউটিভ আদেশ (Executive Order) জারি করবেন। মানে প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতা বলে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় পাল্টাতে চলেছেন ট্রাম্প।

মেইল-ইন-ব্যালট কী

প্রসঙ্গত, মেইল-ইন ব্যালট (Mail-in Ballot) হল একটি ভোট দেওয়ার পদ্ধতি, যেখানে ভোটাররা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে ডাক (postal service) মারফত নিজেদের ব্যালট পাঠিয়ে ভোট দেন। 'ব্যালট পেপার' ডাকযোগে পাঠানো হয় মেইল-ইন ব্যালটের মাধ্যমে।  প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্য বা প্রদেশেই 'মেইল-ইন-ব্যালট' দীর্ঘদিন ধরেই চালু আছে, বিশেষ করে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী বা প্রবাসী ভোটারদের জন্য।  ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই ট্রাম্প দাবি করে আসছেন যে, মেইল-ইন ব্যালটের মাধ্যমেই ভোটে কারচুপি হয়েছিল। যদিও এসব দাবি প্রমাণ হয়নি।

কেন EVM বাতিল করছেন ট্রাম্প

EVM-র বদলে আগামী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভোটের নিয়ম আনছেন প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে ডাকযোগে ভোট পাঠানোও যাবে না। ট্রাম্পের মতে, ভোটিং মেশিন খুবই অকার্যকরী, খুবই খরচসাপেক্ষ ও বিতর্কিত বিষয়। তার বদলে তিনি "সফিস্টিকেটেড ওয়াটারমার্কযুক্ত পেপার ব্যালট" ব্যবহারের পরামর্শ দেন, যা নাকি "অধিক নির্ভুল, দ্রুত ও বিশ্বাসযোগ্য। তাঁর দাবি, মেশিনের তুলনায় এই ব্যালট খরচ অনেক কম। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ধনকুবের শিল্পপতি তথা টেসলা সিইও ইলন মাস্ক বলেছিলেন, EVM-হ্যাক হতে পারে, অসুরক্ষিত, তা নির্বাচন ব্যালট পেপারে হওয়া উচিত।

দেখুন খবরটি

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র বিরোধী বলে অ্যাখা বিরোধীদের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, ফেডারেল নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণের অধিকার রাজ্যগুলির উপরেই বর্তায়, ফলে এই ট্রাম্পের এক্সিকিউটিউ অর্ডার নিয়ে বড়সড় আইনি চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত 'গণতন্ত্র বিরোধী' বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের মতে, মেইল-ইন ব্যালট বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জন্য জরুরি ভোটাধিকার নিশ্চিত করে, এবং সেটিকে নিষিদ্ধ করলে বহু নাগরিক ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন বলে দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাটরা।