নিউ ইয়র্ক, ২৮ অক্টোবর: দুনিয়ার জনপ্রিয়তম সোশ্যাল 'মাইক্রো ব্লগিং সাইট' ট্য ইটার অধিগ্রহণের পর প্রথম ট্যুইট ইলন মাস্কের। ট্যুইটারের মালিক হওয়ার পর মাস্কের প্রথম টুইট। মাস্ক লিখলেন,পাখি স্বাধীন হয়েছে। ট্যুইটারে ফ্রি স্পিচের দাবিতে অতীতে বহুবার সরব হয়েছিলেন মাস্ক।
টুইটারের লোগোয় ব্যবহার করা হয় একটি পাখির ছবি। টুইটারকে তাই অনেকেই পাখি বলে ডাকেন। মাস্কও টুইটারকে পাখি বলে মুক্ত বা স্বাধীন হওয়ার কথা বললেন। টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল ও সিএফও নেড সেগালকে ছাঁটাই করে কাজ শুরু করেছেন মাস্ক। আরও পড়ুন-গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা, ভয়াবহ দুর্ঘটনা মার্কিন মুলুকে, নিহত ৩ ভারতীয় পড়ুয়া
দেখুন টুইট
the bird is freed
— Elon Musk (@elonmusk) October 28, 2022
ট্যুইটারের (Twitter) পুরো দায়িত্ব এবং ক্ষমতা এবার নিজের হস্তক্ষত করলেন ইলন মাস্ক। ট্যুইটার স্বস্ত নিজের হাতে নিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেন পরাগ অগরওয়ালকে (Parag Agrawal)। ট্যুইটারের সমস্থ ক্ষমতা নিজের হাতে নেওয়ার পরপরই ভারতীয় বংশোদ্ভুদ পরাগ অগরওয়াল এবং সংস্থার পদস্থ কর্মী বিজয়া গাড্ডেকে গদিচ্যুত করলেন।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমন খবরই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন খরচ করে ট্যুইটারকে পুরোপুরি নিজের হস্তগত করেন। এরপরই কার্যত ট্য়ুইটারের 'শুদ্ধিকরণ' শুরু করেন ইলন মাস্ক। ট্য়ুইটারের সমস্ত ক্ষমতা হস্তগত করে, সেখান থেকে একের পর এক পদস্থ আধিকারিকদের বরখাস্ত করছেন মাস্ক (Elon Musk )।
ট্যুইটারের সিইও পদ থেকে পরাগ অগরওয়ালের পাশাপাশি বিজয়া গাড্ডে, মুখ্য অর্থনৈতিক আধিকারিক সেড নেগাল এবং জেনারেল কাউন্সেল সিয়ান এডগেটকে বরখাস্ত করেন সংস্থার পদ থেকে। প্রসঙ্গত গত ট্যুইটারের সিইও পদ থেকে জ্যাক ডরসি ইস্তফা দেন। জ্যাক ডরসি সরে যাওয়ার পর সেখানে বসেন ভারতীয় বংশোদ্ভুদ পরাগ অগরওয়াল। পরাগ বসার পরপরই ট্যুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। তারপর থেকেই পরাগের গদিচ্যুত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। জানা যায়, ইলন মাস্ক ট্যুইটার কেনার পর তাঁর সঙ্গে পরাগ অগরওয়ালের বিভিন্ন বিষয়ে মত বিরোধ শুরু হয়। এরপরই পরাগ ট্যুইটার থেকে সরতে পারেন বলে খবর মেলে।