দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর: থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তে (Thailand-Myanmar Border) এক অদ্ভুদ ঘটনা ঘটে গেল। থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তে যে গ্রামগুলি রয়েছে, তার পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে প্রায়শয়ই কান্নার আওয়াজ ভেসে আসতে শুরু করে। কে কাঁদছে, কেন কাঁদছে, তা বুঝে উঠতে পারেননি স্থানীয়রা। ফলে ভূতুড়ে শব্দ বলে গল্প ছড়িয়ে পড়ে দূর দূরান্তে। ৩ দিন ধরে একটানা একটি কান্নার শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে। যা শুনে কার্যত ভয়ে কাঁটা হয়ে যান সেখানকার মানুষজন। পাশের জঙ্গল থেকে কান্না যখন সহ্যের সীমানা পার করে যায়, সেই সময় পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ (Police) হাজির হয়ে সোজা জঙ্গলের দিকে চলে যায়। জঙ্গলের ভিতর যে কুঁয়ো ছিল, সেখান থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে বলে পুলিশ ধরতে পারে। এরপর উঁকি দিয়ে দেখা যায়, এক ব্যক্তি কুঁয়োর ভিতরে পড়ে রয়েছেন।
পুলিশ কুঁয়োর ভিতর থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। জানা যায়, উদ্ধার করা ব্যক্তির নাম লিউ চুয়ানি। তিনি চিনের নাগরিক। লিউ-ই ওই জঙ্গলের ভিতরে থাকা কুঁয়োয় পড়ে যান। শরীরের বহু অংশ কেটে গেলে, লিউ কুয়োর ভিতর থেকে কাঁদতে শুরু করেন। খাবার এবং বিন্দুমাত্র জল ছাড়াই লিউকে কুঁয়োর ভিতরে থাকতে হয় ৩ দিন, ৩ রাত। ফলে ওই কুয়োর ভিতরে থেকে লিউয়ের কান্নাই স্থানীয়দের কাছে ভূতুড়ে শব্দ বলে মনে হতে শুরু করে।
উদ্ধারের পর লিউয়ের দাবি, তিনি গ্রামের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই কুঁয়োয় পড়ে যান। তবে জঙ্গলের ভিতরে চিনা নাগরিক লিউ কী করছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। ফলে অভিবাসন দফতরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে বলে থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার সরকারের তরফে জানানো হয়।