Sheikh Hasina and Bashar al-Assad. (Photo Credits: X)

দীর্ঘ ৬ দশক পর সিরিয়ায় পালাবদল।  গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়ায় পকন হল আসাদ সরকারের। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে যেভাবে দেশে বিদ্রোহের জেরে দেশ ছাড়তে হয়েছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, তেমনই এবার হল সিরিয়ার বাসার আল-আসাদ-এর ক্ষেত্রে। যদিও দুটি দেশের শাসক বদলের প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে দুই শাসকের দেশ ছাড়া কিছুটা একইরকম হল। ১০ দিনের গৃহযুদ্ধের পর বিদ্রোহীদের ভয় অবশেষে দেশ ছাড়তে হল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ-কে। সেনা দিয়ে আর বিদ্রোহীদের ঠেকানো যাবে না বুঝতে পেরে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়লেন রাশিয়ার বন্ধু আসাদ।

২৪ বছর ধরে বাসার আল-আসাদ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার আগে ৩০ বছর বাসারের বাবা ছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেই আসাদ-কে ব্যক্তিগত বিমানে লুকিয়ে দেশ ছাড়তে হল। হাসিনার বিমান যেমন ঢাকা থেকে সোজা ভারতে এসেছিল, তেমন সিরিয়ার আসাদের বিমান কোথায় গেল তা জানা যায়নি। তবে সোশ্য়াল মিডিয়ায় জোর জল্পনা, সিরিয়ার আকাশ পথ ছাড়ানোর পর আসাদের বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে, এবং তিনি মারা যান। তবে সেসবই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বা ভুয়ো খবর সেটা পরে অনেকেই দাবি করেন। অনেকেই বলছেন, আসাদ হয় রাশিয়া অথবা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-তে রয়েছেন।

আসাদের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা

এদিকে, আসাদের রাজপ্রসাদের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। সেখানে ঢুকে সবার চক্ষুচড়ক গাছ। যে দেশের বহু মানুষ অনাহারে মানুষ মারা যায়, সেখানের প্রেসিডেন্টের রাজপ্রাসাদ সুলভ ব্যক্তিগত বাসভবনের পার্কিংয়ে শতাধিক গাড়ির মধ্যে বেশীরভাগই খুব দামি। পাশাপাশি আসাদের বেডরুমে পাওয়া গেল সুড়ঙ্গ। তাঁর আলমারি থেকে বের হল লক্ষাধিক টাকার শার্ট।